
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সর্বকনিষ্ঠ যুদ্ধবন্দিদের একজন বর্তমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মাত্র চার বছর বয়সে কারাগারে বন্দি হতে হয়েছিল তাঁকে। বাবা মেজর জিয়াউর রহমান দেশকে স্বাধীন করার জন্য চট্টগ্রাম থেকে শুরু করেছিলেন প্রতিরোধ আন্দোলন। সেই অপরাধে মায়ের (বেগম জিয়া) সাথে তারেক রহমানকেও বন্দি করেছিল পাকিস্তানিরা।
বয়স ১৫ না হতোই বাবাকে হারান তারেক। তাঁর মতো দেশের খুব রাজনীতিবিদই এতো শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। বাবাকে হারিয়ে এতিম হয়েছেন, ভাইকে হারিয়েছেন, মমতাময়ী অসুস্থ মাকে কারারুদ্ধ দেখার দুঃসহ যন্ত্রণায় কাটিয়েছেন বছরের পর বছর।
আইনি জটিলতা থাকায় ছোটোভাই আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর তাঁকে দেখতেও যেতে পারেননি তারেক রহমান। ওয়ান ইলেভেনের পর তারেক রহমানকে যে পরিমাণ অত্যাচারে-নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, তাতে তাঁর জীবন নিয়েই শঙ্কায় পড়তে হয়।
যে পরিবারকে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছিল, তার ১০ বছর পর যে পরিবারের কর্তাকে নির্মমভাবে খুন করা হয়, সে পরিবারটিই ৮০’র দশকজুড়ে স্বৈরাচারী শাসনের তোপের মুখে পড়ে। রাজনৈতিক রোষানলের কারণে দীর্ঘদিন এই পরিবারের সদস্যগণ একে অপরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অনেক কথাই বলা হয়। কিন্তু কখনোই তাঁর জীবনে এই নির্মমতার শিকার হওয়ার দিকগুলো তুলো ধরা হয় না। সারা জীবন স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কেটেছেন তিনি।
নাটকীয় সব ঘটনায় তাঁর জীবন পূর্ণ, যেখানে ত্যাগ আর বঞ্চনাই বেশি। সম্প্রতি তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমাদের ৩১ দফা যদি আমরা সফল করতে পারি, তাহলেই আমার ও আমার পরিবারের সাথে করা সকল অন্যায়-অবিচার-অত্যাচারের জবাব দেওয়া হবে।’
সূত্র: https://www.facebook.com/share/v/1628WRoNpR/
রাকিব