ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২

উগ্রতা ও অসহিষ্ণু মনোভাব পরিহার করে সর্বদা আমাদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থাকা উচিত: আজহারী

প্রকাশিত: ০১:১০, ১৬ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০১:১০, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

উগ্রতা ও অসহিষ্ণু মনোভাব পরিহার করে সর্বদা আমাদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থাকা উচিত: আজহারী

ছবি: সংগৃহীত।

আলেম ও ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী মসজিদের গুরুত্ব ও এর প্রতি মুসলিমদের দায়িত্ব নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। তিনি ১৫ এপ্রিল নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে মসজিদকে ইসলামি সভ্যতার নিদর্শন ও পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বর্ণনা করেন।

তিনি লেখেন, “মসজিদ মুসলিমদের সামাজিক ঐক্যের প্রাণকেন্দ্র। ইসলামি সভ্যতার নিদর্শন ও ইমানের ইস্পাতকঠিন দূর্গ। দ্বীনের এই নিদর্শন নিয়ে বিভেদের প্রাচীর নির্মাণ সমীচীন নয়।”

তিনি আরও বলেন, “আল্লাহর ঘরের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সম্মান বজায় রাখা প্রত্যেক মুমিনের দায়িত্ব। এই মসজিদ আমাদের পারস্পরিক বন্ধন দৃঢ় করার সুযোগ করে দেয়। তাই, উগ্রতা ও অসহিষ্ণু মনোভাব পরিহার করে সর্বদা আমাদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থাকা উচিত।”

পোস্টটির কমেন্ট বক্সে আজহারী আরও বিস্তারিতভাবে লেখেন, মসজিদ শুধুমাত্র ইবাদতের স্থান নয় বরং তা দ্বীনের দুর্গ, সভ্যতার স্তম্ভ এবং মুসলিমদের সাংগঠনিক শক্তির কেন্দ্রবিন্দু।

তিনি লেখেন, “নবিজি ﷺ তো হিজরতের সফরে তখনো মদিনায় পা-ও রাখেননি, তার আগেই একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন— যাকে আমরা মসজিদে কুবা নামে চিনি।”

তিনি মসজিদের মিনার প্রসঙ্গে বলেন, “মসজিদের মিনারগুলো এত উঁচু হয় কেন ভেবেছেন কখনো? দ্বীনের অস্তিত্ব জানান দেবার জন্য… এখনও টিকে আছে তাঁর কোটি কোটি গোলাম— সে কথা জানান দেবার জন্য।”

মসজিদভিত্তিক বিভাজন ও দলাদলির তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, “মসজিদ আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা দেবার জায়গা, দলাদলির জায়গা নয়… মসজিদ ভেঙে ফেলবার মতো ন্যাক্কারজনক কাজ মোটেও কাম্য নয়।”

সর্বশেষে আজহারী মুসলিম উম্মাহকে আহ্বান জানান, মসজিদকে উম্মাহর পুনর্জাগরণের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তুলতে, কোমলমতি শিশুদের সেখানে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে এবং সমাজ পরিচালনার একটি কার্যকর কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে।

নুসরাত

×