
ছবিঃ সংগৃহীত
২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের পথে রয়েছে এবং এতে দেশের অর্থনীতিতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে কী কী সুবিধা মিলবে, সেটা না ভেবে বরং নতুন পথ তৈরির দিকে নজর দিতে হবে।”
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “সংস্কারের মাত্রা নির্ধারণ হবে ঐক্যমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলের বৈঠকের ভিত্তিতে।”
তিনি আরও জানান, আসন্ন পাকিস্তান-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনূস এলডিসি উত্তরণ নিয়ে একটি বৈঠক করেন, যেখানে ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে আলোচিত হয় এলডিসি থেকে উত্তরণে বেসরকারি খাতে কোনো চাপ সৃষ্টি হবে কি না।
পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানে আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।”
তিনি আত্মবিশ্বাসের সাথে জানান, “এলডিসি উত্তরণ ঘটলেও অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। আমাদের ভিক্ষার মানসিকতা পরিহার করে নিজেদেরই সুবিধা তৈরি করে নিতে হবে।”
মারিয়া