ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

দিনভর নানা আয়োজনে মুখর রাজধানী

সকল বিভেদ ভুলে বর্ষবরণ

গৌতম পান্ডে 

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

সকল বিভেদ ভুলে বর্ষবরণ

.

বসন্তের বিদায় আর গ্রীষ্মের আগমনের মাহেন্দ্রক্ষণ বাঙালির চিরচেনা এক ঐতিহ্যের যুগলবন্দি। আর তাই তো বাংলা সংস্কৃতির শিকড়ের টানে বছর শেষে আবার ফিরে এসেছে ঐতিহ্যের বাংলা নববর্ষ। আবহমান সংস্কৃতির লালিত ধারায় বঙালি পহেলা বৈশাখে আবার নতুন করে শাণিত করল মমত্ববোধকে। অসাম্প্রদায়িক চেতনা আর পরস্পরের ভেদাভেদ ভুলে ‘আমরা সবাই বাঙালি’ উচ্চারণে মুখর হয়ে উঠল গোটা দেশ। অমানিশার ঘোর কেটে নতুন করে বরণ করে নিল ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে।
বর্ণিল উৎসবের পাশাপাশি বাঙালি এদিন দারুণ ঐক্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। হাত ধরাধরি করে এগিয়ে গেছে নিজস্ব কৃষ্টি ও লোকায়ত জীবনের কাছে। কৃতজ্ঞ চিত্তে পূর্ব পুরুষের সকল দান স্বীকার করে নিয়েছে। অন্যের ধার করা সংস্কৃতি স্পর্শ করতে পারেনি কাউকে। বরং আত্ম পরিচয়ের সন্ধানে ফিরেছে সবাই। 
জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে নববর্ষের দিন সোমবার সকলে মেতে উঠেছিল বৈশাখী আবাহনে। এদিন বর্ষবরণের বহুমাত্রিক নান্দনিকতায় রঙিন হয়ে ওঠে রাজধানী ঢাকাসহ সমগ্র দেশ। নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় জাতীয়ভাবে নববর্ষ উদ্যাপনের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও নানা আয়োজন করে। চাকমা, মারমা, গারো, ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন জাতিসত্তার এ উৎসবে শামিল হতে দেখা যায়। নববর্ষ ও চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে রমনার বটমূল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রবীন্দ্র সরোবরসহ ঢাকার নানা প্রান্তে অনুষ্ঠিত হয় গান, নাচ, কনসার্ট, ড্রোন শোসহ মন মাতানো নানা আয়োজন। রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন জেলা, উপজেলায়ও ছিল সাংস্কৃতিক নানা কর্মসূচি।
ঢাকায় সূর্য ওঠার আগেই অনেকে চলে আসে রমনা,  রবীন্দ্র সরোবর, চারুকলাসহ বিভিন্ন স্থানে। যে দিকে চোখ গেছে সেদিকেই লাল-সাদা রঙের ছড়াছড়ি। তরুণীদের পরনে শাড়ি আর তরুণদের পরনে পাঞ্জাবি  এক ভিন্ন আবহ তৈরি করেছিল। মা-বাবার কোলে, কাঁধে চড়ে এসেছিল শিশুরা। এভাবে সকলের অংশগ্রহণে গোটা শহর উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল। পরিবারের সদস্য, আত্মীয় স্বজন,  স্বামী-স্ত্রী, বন্ধু-বান্ধব, প্রেমিক-প্রেমিকারা ঘুরে বেড়িয়েছেন মনে আনন্দে। উৎসবের সঙ্গে মিলেমিশে  একাকার হয়ে গিয়েছিল বাঙালি। এ সময় কারও হাতে ছিল ঐতিহ্যের বাঁশী, কারও হাতে একতারা। কেউ কেউ আবার ঢোল বাজিয়েছেন, নেচেছেন-গেয়েছেন। রাস্তার কোনো কোনো জায়গায় আলপনাও আঁকা হয়েছে। আয়োজন করা হয়েছে বৈশাখী মেলাও।
রমনা বটমূলে ছায়ানটের প্রভাতী আয়োজন এবং ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে সুরের ধারার প্রভাতী আয়োজন দিয়ে রাজধানীবাসীর বর্ষবরণের সূচনা হয়। প্রভাতী আয়োজন শেষ হতেই বর্ষবরণের নানাবিধ বর্ণিলতাকে গায়ে মাখতে উৎসবপ্রিয় নগরবাসী ছুটে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে। অংশ নেয় মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তিত আয়োজন বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায়।’
রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ ॥ ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ বার্তা নিয়ে রমনা বটমূলে ভোর সোয়া ৬টায় সুপ্রিয়া দাশের কণ্ঠে ভৈরবী রাগালাপে ছায়ানটের ১৪৩২ বঙ্গাব্দবরণের প্রভাতী আয়োজনের সূচনা হয়। এবারই প্রথম সন্জীদা খাতুনকে ছাড়া বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করে ছায়ানট। বাঙালির সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে কিংবদন্তিতুল্য সন্জীদা খাতুন গত ২৫ মার্চ বিকেল ৩টায় জীবনের এই বিপুল যাত্রা সাঙ্গ করেন। এবার ছায়ানটের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে নববর্ষ কথন পাঠ করেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী। তিনি বলেন, সকল অতৃপ্তি প্রতিবিধানের দায় রাষ্ট্রের, তবে সমাজকেও সে দায় নিতে হয়। প্রতিষ্ঠানের ৫৮তম এ আয়োজনে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অনুষ্ঠানে এক মিনিট নীরবতাও পালন করে ছায়ানট। প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা এবারের আয়োজন নিয়ে আগেই বলেছিলেন, বিশ্বব্যাপী যেমন ক্ষয়ে চলেছে মানবতা, তেমনি এদেশেও ক্রমান্বয়ে অবক্ষয় ঘটছে মূল্যবোধের। তবু আমরা আশাহত হই না, দিশা হারাই না, স্বপ্ন দেখি হাতে হাত রেখে সকলে একসঙ্গে মিলবার, চলবার। প্রভাতি এই আয়োজনে সম্মেলক কণ্ঠে ‘নূতন প্রাণ দাও, প্রাণসখা’ এবং একক কণ্ঠে দীপ্র নিশান্ত শোনান ‘তিমির দুয়ার খোলো’। ৯টি সম্মেলক, ১২টি একক গান ও ৩টি পাঠ পরিবেশন করা হয়। সারওয়ার আলীর নববর্ষ কথনের পর জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে আয়োজনের সমাপ্তি হয়।
রবীন্দ্র সরোবরে সুরের ধারার আয়োজন ॥ ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর রবীন্দ্র সরোবরের উন্মুক্ত চত্বরে সুরে সুরে বর্ষবরণের আয়োজন শুরু করে সুরের ধারা। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের তিন শিল্পীর সরোদের সুরে শুরু হয় অনুষ্ঠান। দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্রসংগীত, লোকগীতিসহ ছিল পঞ্চকবির গান। যন্ত্রসংগীতের পরেই সুরের ধারার শিশুদের কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘আলো আমার আলো ও গো’ রবীন্দ্রসংগীত। পরে দলের শিল্পীদের সমবেত পরিবেশনায় ছিল ‘প্রভাত বীণা তব বাজে’। এর পর পরই এল ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর কণ্ঠে পার্বত্য অঞ্চলের গান। অনুষ্ঠানে একক সংগীত পরিবশেন করেন শিল্পী ফাহিম হোসেন চৌধুরী, প্রিয়াংকা গোপ, সাথী সরকার, কিরণ চন্দ্র রায়, শারমিন আক্তার প্রমুখ। কখনো একক সংগীত, কখনো সমবেত কণ্ঠে নানান গানের মনোমুগ্ধকর সংগীতে উৎসবমুখর হয়ে অনুষ্ঠান। রবীন্দ্র সরোবরে আরেক পাশে তখন চলছিল ছবি আঁকার আয়োজন। সেখানে ছিলেন শিল্পী অশোক কর্মকার, জাহিদ মুস্তফা, এলিস গোমেজ, রঞ্জন বিশ্বাসসহ আরও অনেক শিল্পী।
বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা ॥  ব্যাপক উৎসাহ আর উদ্দীপনা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে এবারও নববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে সকাল ৯টায় বেরিয়েছে শোভাযাত্রা। বিগত বছরের মঙ্গল শোভাযাত্রা এবার নাম বদলে হয়েছে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্যে বের হওয়া এবারের শোভাযাত্রায় ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদও উঠে আসে। দেওয়া হয় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বার্তা। ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি নামে একটি মোটিফ এবারের শোভাযাত্রার আগেই আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দেয়। চাকমা, মারমা, গারো, বাঙালিসহ ২৮টি জাতিগোষ্ঠী উৎসবে মেতেছে উচ্ছ্বাসে। কারো হাতে প্রতিবাদের প্ল্যাকার্ড, কেউবা আবার সেজেছেন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী রূপে। সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানসহ অনেকে অংশ নেন। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন দেশের অতিথিরা অংশ নেন। শোভাযাত্রায় অংশ নেয় বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন (বামবা)। এ ছাড়া কৃষককে গুরুত্বপূর্ণ থিম হিসেবে শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হয়। নবপ্রাণ আন্দোলনের তত্ত্বাবধানে সাধু ও বাউলদের অংশগ্রহণ, নারী ফুটবলারদের অংশগ্রহণও ছিল শোভাযাত্রায়। ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি ছিল শোভাযাত্রার সামনে। এর উচ্চতা ছিল ১৬ ফুট। এবার শোভাযাত্রায় ৭টি বড়, ৭টি মাঝারি ও ৭টি ছোট মোটিফ রাখা হয়। এ ছাড়া ছোট, বড়, মাঝারি অসংখ্য শিল্পকর্ম দেখা যায় শোভাযাত্রায়। অন্যান্য মোটিফের মধ্যে ছিল তরমুজের ফালি, বাঘ, ইলিশ, শান্তির পায়রা ও পালকি। এ ছাড়া ৩৬ জুলাই টাইপোগ্রাফি আর পানির বোতলের মোটিফ মনে করিয়ে দেয় জুলাই আন্দোলনে নিহত মুগ্ধের কথা। শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয়।
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে কনসার্ট ॥ রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হয় কনসার্ট। বিকাল ৩টা থেকে শুরু হওয়া এ কনসার্ট বৈশাখী উৎসবকে আরও রঙিন করে তোলে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও য়েন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান, আয়োজক বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেনসহ সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক প্রতিনিধি। কনসার্টের শুরুতেই পরিবেশনায় অংশ নেয় বান্দরবানের বেসিক গিটার লার্নিং স্কুল। এরপর গারো ও আর এন আর ব্যান্ড ‘এফ মাইনর’ সংগীত পরিবেশন করে। সম্মিলিত শিল্পীদের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটি। সংগীত পরিবেশন করেন মিঠুন চক্রবর্তী, পালাকার ইসলামউদ্দিন, রাকিব, সাগর দেওয়ান, আরজ আলী, আতিয়া আনিশা, আহমেদ হাসান সানি, শেষে জুলাই আন্দোলন’সহ তিনটি গান পরিবেশন করেন পারশা। অনুষ্ঠানের একদম শেষ পর্যায়ে মঞ্চ মাতায় অ্যাশেজ ব্যান্ড।
ড্রোন শো ॥ রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সব শেষে ছিল ড্রোন শো।  ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাসের কারিগরি সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় এ ড্রোন শো আয়োজন করা হয়। শোতে উঠে আসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো আবু সাঈদ, পানির বোতল হাতে প্রতীকী মুগ্ধ, ২৪-এর বীর, পায়রার খাঁচা ভাঙা থিম এবং ফিলিস্তিনের জন্য প্রার্থনা। এ ছাড়া বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বের শুভেচ্ছাবার্তা। জুলাই আন্দোলনের প্রসঙ্গ ও গণ-অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে বিগত সরকারের পতনের দাবিতে সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার প্রতিবাদও শোতে স্থান পেয়েছে প্রতীকীভাবে।
বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের বর্ষবরণ ॥ বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে আলোচনা পর্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক সুশান্ত অধিকারী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন  সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি গণসংগীত শিল্পী ফকির সিরাজ। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শিল্পী কাজী মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের পরিবেশনা, একক সংগীত, দলীয় সংগীত, একক আবৃত্তি, দলীয় আবৃত্তি, দলীয় নৃত্য, ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর বিশেষ পরিবেশনা সহ পথনাটক পরিবেশিত হয়। সবশেষে মৈত্রী থিয়েটার মঞ্চায়ন করে পথনাটক ‘চা এবং কফি’। 
বাংলা একাডেমিতে বৈশাখী মেলা ॥ বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ও বাংলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা। সোমবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, সংস্কৃতি সচিব মো. মফিদুর রহমান এবং বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম এবং স্বাগত বক্তব্য দেন বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম। এবারের বৈশাখী মেলায় রয়েছে ৯৮টি স্টল। এখানে পাওয়া যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, কুটির ও হস্তশিল্প, খেলনা, কারুশিল্পসহ হরেক রকমের সামগ্রী। এছাড়াও মেলায় রয়েছে যাত্রাপালা, পতুলনাচ, সার্কাস, নাগরদোলা সহ নানাবিধ বিনোদনমূলক আয়োজন। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকল দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বাংলাদেশ শিশু একাডেরির বর্ষবরণ ॥ বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে সোমবার সকালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ ও সচিব মমতাজ বেগম এনডিসি, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক (যুগ্মসচিব) দিলারা বেগম প্রমুখ। বৈশাখের রঙে রঙিন আলপনায় সাজানো শিশু একাডেমি চত্বরে জাতীয় সংগীত ও ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গানের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এছাড়া ছবিআঁকা, দলীয় সংগীত ও নৃত্য, দলীয়আবৃত্তি পরিবেশন করে শিশুরা।

প্যানেল

আরো পড়ুন  

×