
নতুন বছরের সূর্যোদয়ের পর পরই ঢাকার চারুকলা অনুষদের প্রাঙ্গণ পরিণত হয় এক অনন্য মিলনমেলায়।
এবার শোভাযাত্রায় অংশ নেয় দেশের ২৮টি নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ। চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, মনিপুরী, গারো রাখাইনসহ প্রতিটি সম্প্রদায়ের নিজস্ব পোশাক, বাদ্যযন্ত্র ও নৃত্যশৈলীতে মিশে গিয়েছিল বাঙালির বৈশাখী আনন্দ।
শোভাযাত্রার প্রতিটি ধাপে ছিল বৈচিত্রের ছোঁয়া। চাকমা সম্প্রদায়ের ঢোলের তালে, মারমা নারীদের রঙিন পোশাকে, ত্রিপুরা যুবকদের ছন্দে, মনিপুরীদের কোমল নিত্যে সব মিলিয়ে এক অপূর্ব সাংস্কৃতিক সমন্বয়। এ যেন এক মঞ্চ, যেখানে প্রতিটি সম্প্রদায় তাদের নিজস্বতা নিয়ে হাজির। আবার একসঙ্গে গড়ে তুলেছে জাতীয় ঐক্যের প্রতিচ্ছবি।
এই প্রথম বড় পরিসরে প্রায় ২৮টি জাতি গোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্তিমূলক আয়োজনের মাধ্যমে নববর্ষ উদযাপন হয়েছে। এটি শুধু একটি উৎসব নয় বরং দেশের বহুমাত্রিক সংস্কৃতির স্বীকৃতি ও সম্মানের প্রতীক। এই শোভাযাত্রা প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ শুধু বাঙালির নয় এটি সব জাতিগোষ্ঠীর মিলিত আবাস।
নববর্ষের শোভাযাত্রায় সব সম্প্রদায়ের সম্মিলিত অংশগ্রহণ শুধু আনন্দের নয়, জানান দেয় ঐক্যতার বার্তাও।
সজিব