
ছবি: সংগৃহীত
আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে সারা দেশের মতো উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী জেলা জুড়ে নতুন বাংলা বছরকে (১৪৩২) বরণ করে নিতে দিনভর নানা আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে চলে বর্ষবরণ উৎসব।
পহেলা বৈশাখ বরণের উৎসবে বাদ পড়েনি নীলফামারী জেলা কারাগারের ৩৫১ জন কারাবন্দিও। বর্ষবরণে কারা অভ্যন্তরকে সাজানো হয় বর্ণিলভাবে। শুধু সাজানো নয়, রীতিমত বিভিন্ন খেলাধুলার প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়, দিনব্যাপী চলে বর্ষবরণ উৎসব।
কারা অভ্যান্তরের মাঠে বসানো হয় মঞ্চ আর টেবিল-চেয়ার। পান্তা-ইলিশসহ নানা উন্নতমানের খাবার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল প্রধান আকর্ষণ। নববর্ষের সকাল থেকে কারা অভ্যান্তরে শুরু হয় উৎসব।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা কারাগারের জেল সুপার জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং জেলার মোঃ তারিকুল ইসলাম। তারা জানান, বাঙালির ঐতিহ্যখচিত দিনটি হলো বাংলা নববর্ষ। ঐতিহ্যের এই দিনকে আরও উৎসবমুখর এবং আনন্দময় করার লক্ষ্যে কারাবন্দিদের জন্য পান্তা ভাতের সাথে ইলিশ মাছ, পটল ভাজি, আলু ভর্তা, শুটকি ভর্তা, পেঁয়াজ-মরিচ ও পাঁপড় ভাজা পরিবেশন করা হয়। পাশাপাশি কারাগারে কর্মরত স্টাফ ও তাদের পরিবার-পরিজনের জন্য রাখা হয় নানা আয়োজন।
নীলফামারীর কারাবন্দিরা মাটির হাড়ি ভাঙা, কাবাডি খেলা, কলাগাছে উঠে বেলুন ফাটানো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। বেশ কয়েকজন কারাবন্দি জানালন, এখানে বন্দিজীবনে বৈশাখ উৎসব পালন হবে, এটা তারা ভাবতেই পারিনি। একজন বলেন, ‘মনে হচ্ছে, বাড়িতে থাকলেও হয়তো এমন উৎসব পালন করতে পারতাম না, যা কারাবন্দি হয়েও পালন করছি।’ তারা জেল কর্তৃপক্ষের কাজে বৈশাখী উৎসবের জন্য কৃতজ্ঞতাসহ ধন্যবাদ জানান।
এদিকে জেলা প্রশাসন, জেলা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জেলা জুড়ে পান্তা-ইলিশের আয়োজনসহ বর্ষবরণে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম বলেন, ১৫ বছর পর দলীয়ভাবে নানা আয়োজনে পহেলা বৈশাখ পালন করা হলো। জেলা অফিসে সহস্রাধিক নেতাকর্মীরা পান্তা-ইলিশে উৎসবে ও আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
তাহমিন হক ববী/রাকিব