
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বাতিলকৃত অঞ্চলগুলোর মধ্যে পাঁচটি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি প্রকল্প রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে বেজার গভর্নিং বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সরকারি খাতের বাতিলকৃত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে কক্সবাজারের সোনাদিয়া ইকোট্যুরিজম পার্ক, বাগেরহাটের সুন্দরবন ট্যুরিজম পার্ক, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল, গাজীপুরের শ্রীপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল। অন্যদিকে বেসরকারি খাতে বাতিল হয়েছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বিজিএমইএ পোশাকশিল্প পার্ক, সুনামগঞ্জের ছাতক অর্থনৈতিক অঞ্চল, বাগেরহাটের ফমকম অর্থনৈতিক অঞ্চল, ঢাকা জেলার সিটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও অর্থনৈতিক অঞ্চল।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নেওয়া হলেও এক দশকের বেশি সময়ে কয়েকটি বেসরকারি অঞ্চল ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার প্রকল্পগুলো পুনর্মূল্যায়ন শুরু করে। গত জানুয়ারিতে বেজা জানায়, ১০০টি অঞ্চলের পরিবর্তে এখন পাঁচটি অঞ্চল নিয়ে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে, যেগুলো দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১৩৩টি শিল্পকারখানা স্থাপন, ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ এবং প্রায় ২ লাখ ৩৮ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য রয়েছে। আশিক চৌধুরী জানান, এই পাঁচটি অঞ্চল সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে আরও প্রকল্প নেওয়া হবে। তবে দীর্ঘমেয়াদে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিকল্পনা সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হয়নি, বরং তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের কথা ভাবা হচ্ছে।
সূত্র:https://youtu.be/AFoT7tiyWNE?si=pxHLBNs_yjuL4IXX
আঁখি