ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

আনন্দ শোভাযাত্রায় ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি

প্রকাশিত: ১০:৫০, ১৪ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১০:৫৪, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

আনন্দ শোভাযাত্রায় ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি

ছবি: ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি

আজ, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজন করা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী আনন্দ শোভাযাত্রা। নতুন বছরকে বরণ করতে এই শোভাযাত্রা এক বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে, যেখানে শোভাযাত্রার মূল আকর্ষণ হিসেবে প্রদর্শিত হচ্ছে 'ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি'।

পহেলা বৈশাখের এই আনন্দ শোভাযাত্রা ঘিরে বিশেষ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এবারের শোভাযাত্রার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে দীর্ঘসময় ধরে শাসন করা ফ্যাসিবাদী শাসনের চিত্র তুলে ধরা। এরই মধ্যে গতকাল শোভাযাত্রার আগের দিন, ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিটি পুড়িয়ে ফেলা হয়, যা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ ছিল—এমনকি প্রশ্ন উঠেছিল, কীভাবে এ আয়োজন সফল হবে।

 

তবে শিল্পীরা তাদের দিন-রাতের পরিশ্রমের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত সেই মুখাকৃতিটি আবার তৈরি করতে সক্ষম হন, যা শোভাযাত্রার এক বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। এখন এটি যেন এক নতুন রূপে প্রদর্শিত হচ্ছে, যা সবার মধ্যে এক ভিন্ন আবেগ সৃষ্টি করেছে।

এবারের শোভাযাত্রার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে, যাতে শোভাযাত্রা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হয়। প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচেষ্টা, যাতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সেগুলো খুবই প্রশংসনীয়।

এই আনন্দ শোভাযাত্রা, যেটি শত শত বছর ধরে পুরাতন বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়, এবার আরও বিশেষভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মঙ্গল শোভাযাত্রার পরিবর্তে এবার নাম রাখা হয়েছে আনন্দ শোভাযাত্রা। ২০১৬ সালে এই শোভাযাত্রা প্রথমবারের মতো বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করেছিল, এবং এখন এটি বাংলাদেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এক বিশেষ ঐতিহ্য হিসেবে পালিত হচ্ছে।

এবছরের শোভাযাত্রাও সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় অত্যন্ত উৎসাহপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা দেশের মানুষের মধ্যে এক গভীর আনন্দ এবং উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।

 


সূত্র:https://tinyurl.com/4y4etxvw

আফরোজা

আরো পড়ুন  

×