
আশিক চৌধুরী। এই সময়ের অন্যতম পরিচিত মুখ। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
সম্প্রতি তার কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে তিনি তথ্যবহুল ও সাবলীল ভাষায় দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলো তুলে ধরেছেন। অনেকেই তার ভিডিওগুলো শেয়ার দিচ্ছেন। সেখানে ক্যাপশন ও কমেন্টে ব্যাপক প্রশংসা দেখা গিয়েছে।
আশিক চৌধুরীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনা জানা যায় তার একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে। সেখানে তিনি জানান, তিনি পেশায় ছিলেন একজন ব্যাংকার। সিঙ্গাপুরের বহুজাতিক এইচএসভিসিতে কর্মরত ছিলেন তিনি। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি ফোন কলে তিনি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নিয়েছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট টোয়েন্টি টুয়েন্টি ফাইভ এ আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চায়না, সাউথ কোরিয়া এবং ইন্ডিয়াসহ বিশ্বের বড় বড় কোম্পানির সিইও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায়। বাংলাদেশে তারা ব্যবসা করতে চান। বিশ্বের বাঘা বাঘা কোম্পানীগুলোর সিইওদের একত্রিত করা তাও আবার বাংলাদেশে কিভাবে সম্ভব? এত কঠিন কাজটি দেশের জন্য যিনি সম্ভব করেছেন তিনি হলেন এই আশিক চৌধুরী।
আশিক চৌধুরীর অর্জনের ঝুলিতে রয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে নিজের নাম লেখানোর ঘটনাও। তিনি স্কাই ডাইভিংও জানেন। তিনি একচল্লিশ হাজার ফুট উঁচু থেকে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা নিয়ে স্কাই ডাইভিং করেছিলেন। মূলত এই কারণেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে তার নাম উঠেছে।
দেশে ফিরে আসার পর থেকে তার কাজ ও ব্যক্তিত্ব মানুষের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলেছে। তার উদ্যমী উদ্যোগে বৈদেশিক বিনিয়োগ আর বিপুল কর্মসংস্থানের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তাতে দেশের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি যেমন এগোবে তেমনি বেকারদের মিলবে সোনার হরিণ খ্যাত অধরা চাকুরী।
সজিব