
ছবিঃ সংগৃহীত
বিশ্ব চার্চ পরিষদ (WCC)-এর মহাসচিব রেভারেন্ড ড. জেরি পিল্লে রবিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এই সাক্ষাৎটি রাজধানীর স্টেট গেস্ট হাউস যমুনায় অনুষ্ঠিত হয়।
জেনেভা-ভিত্তিক রেভারেন্ড পিল্লে এ সময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিশ্ব চার্চ পরিষদের পূর্ণ সমর্থন জানান এবং শান্তি, ন্যায়বিচার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পথে সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, “আমরা এখানে এসেছি আপনার নেতৃত্বের প্রতি আমাদের সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করতে। দুই দশক পর এই সফর আমাদের বাংলাদেশ নিয়ে প্রতিশ্রুতি ও আন্তরিকতার প্রমাণ।”
রেভারেন্ড পিল্লে আরও বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি একতা, শান্তি ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের ওপর। আমরা দেখছি, আপনার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে।”
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বিশ্ব চার্চ পরিষদের প্রতিনিধি দলকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান এবং তাঁদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি—উত্থান-পতন থাকেই, কিন্তু আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামী দিনগুলোতে আপনাদের পাশে চাই। আশা করি, আবারও বাংলাদেশ সফর করবেন।”
বিশ্ব চার্চ পরিষদ ৩৫২টি সদস্য গির্জার একটি বৈশ্বিক ঐক্যজোট, যা বিশ্বের ৫০ কোটিরও বেশি খ্রিস্টানকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রেভারেন্ড পিল্লে বলেন, তারা অধ্যাপক ইউনূসের ‘৩টি শূন্য’ বিশ্ব গড়ার স্বপ্নের সঙ্গে গভীরভাবে একমত—যার লক্ষ্য হলো: সম্পদের অসম বণ্টনের শূন্যতা, বেকারত্বের শূন্যতা এবং কার্বন নিঃসরণের শূন্যতা।
তিনি বলেন, “বিশ্ব চার্চ পরিষদেও আমরা এই একই ‘৩ শূন্য’ দর্শনকে সমর্থন করি। এটি একটি প্রাকৃতিক মিল, আর আমরা আনন্দিত—আপনার এই যাত্রায় পাশে থাকতে পারছি।”
এছাড়া, বাংলাদেশ জলবায়ু অভিযোজন নিয়ে যে বৈশ্বিক নেতৃত্ব দিচ্ছে, তা নিয়েও প্রশংসা করেন রেভারেন্ড পিল্লে। তিনি জানান, বিশ্ব চার্চ পরিষদের বাংলাদেশ শাখা গাজীপুরে একটি জলবায়ু কেন্দ্র চালু করেছে।
“বাংলাদেশে বিশ্বের সেরা ও উদ্ভাবনী প্রকৌশলীরা জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় কাজ করছেন,”—তিনি বলেন।
এই সাক্ষাৎকালে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী ড. এ এফ এম খালিদ হাসান উপস্থিত ছিলেন।
রেভারেন্ড পিল্লের সঙ্গে ছিলেন: বিশ্ব চার্চ পরিষদের প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ দিনেশ সুনা; বাংলাদেশ প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চ ফেডারেশনের সভাপতি বিশপ ফিলিপ অধিকারী; ন্যাশনাল কাউন্সিল অব চার্চেস ইন বাংলাদেশের সভাপতি (অব.) উইং কমান্ডার ক্রিস্টোফার অধিকারী; এবং এনসিসিবির মহাসচিব রেভারেন্ড দীপক দাস।
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/p/1BVL9achoF/
মারিয়া