
ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি একটি বেসরকারি গণমাধ্যমের ‘রাজনীতি’ নামের এক টকশোতে বিএনপির সাবেক এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘যারা চমৎকার প্রেজেন্টেশন দিচ্ছেন, চমৎকার কথা বলছেন, চমৎকার বক্তৃতা করছেন, তারা যদি মনে করে যে তাদের দক্ষতা-যোগ্যতা-জনপ্রিয়তা অনেক বেশি, তাহলে কেন তারা নির্বাচনে আসছেন না?’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে তিনি বলে, “যেই ব্যক্তিটি বাংলাদেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে এসেছে, আমরা যার মুখে বারবার শুনেছি তিনি রাজনীতি করতে চান না, রাজনীতির ব্যাপারে তার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই, তিনি যখন ঈদের পরে হাত মেলান, ঈদের দিন সকালবেলা তখন পাঁচ বছর, তিন বছর রব ওঠে এবং তার আগে থেকেই কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতে এক ধরনের ইঙ্গিত আমরা পাই, যখন সার্জিস আলম বলে, ‘নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার চিরজীবনের স্বপ্ন, পাঁচ বছর যদি আপনাকে পেতাম’, ওই যে একটা ইন্ডিকেশন, সেই ইন্ডিকেশনটা কিন্তু এখন ধীরে ধীরে বাড়ছে। এটি বাড়তেই থাকবে বলে আমরা মনে করছি।”
‘মানুষ কী চায়, মানুষ কী শুনতে চায়, দেখতে চায়, সরকার যদি এটা বুঝে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে এতে সমস্যার কী আছে?’ উপস্থাপকের এমন প্রশ্নের জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘কাজ যদি করে, কাজ যদি ইমপ্লিমেন্টেড হয় কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু তারপরেও একটা অসুবিধা আছে। অসুবিধাটি হচ্ছে বাংলাদেশ তো সাংবিধানিকভাবে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। কাউকে ভোট ছাড়া রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসালেন, সমস্যাটা ঠিক ওই জায়গায়। আপনি সংবিধান পরিবর্তন করে এমন কিছু প্রভিশন আনতেই পারেন, মানে বাংলাদেশের মেজরিটি যদি চায় যে অসাধারণ অনির্বাচিত ব্যক্তিরা যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের উজ্জ্বলতার স্বাক্ষর রেখেছেন, তারা বাংলাদেশকে রান করবেন, সেটা হতে পারে কিন্তু এখন পর্যন্ত তো সেটা চায়নি।’
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=ybbxeBiyVaA
রাকিব