
ছবি: সংগৃহীত
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেই অভিবাসন নিয়ে আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম শুরু করেছে। পাশাপাশি, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল করে একটি নির্বাহী আদেশও জারি করেছেন তিনি। এর সঙ্গে কঠোর করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিও।
এই কঠোর অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করে তুলে ধরেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন ভিসা কোনো সাধারণ অধিকার নয়, এটি একটি বিশেষ সুযোগ—যা কেবল তাদের জন্য সংরক্ষিত, যারা যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
ফক্স নিউজে প্রকাশিত একটি সম্পাদকীয়তে রুবিও ভিসা নীতির কঠোরতা এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ ও বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এই নীতির প্রাসঙ্গিকতা আরও জোরালোভাবে তুলে ধরেন তিনি।
রুবিও জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বহু বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছেন এবং অনেককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে ফেডারেল তহবিল কমানোর হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও লেখেন, “যুক্তরাষ্ট্র সফর করা কোনো অধিকার নয়; এটি একটি বিশেষ সুযোগ, যা কেবল তাদেরই প্রাপ্য যারা আমাদের মূল্যবোধ ও আইনকে সম্মান করে। যারা আমেরিকাকে উন্নত করতে চায়, তারাই এর যোগ্য। যারা ভেতর থেকে দেশটিকে দুর্বল করতে চায়, তাদের এখানে থাকার অধিকার নেই।”
শূন্য সহনশীলতার নীতির কথা উল্লেখ করে রুবিও বলেন, কোনো ভিসাধারী যদি যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, আইন লঙ্ঘন করে বা ভিসা বাতিলের যথাযথ কারণ থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে তিনি কখনো দ্বিধা করবেন না।
রুবিও আরও জানান, মার্কিন অভিবাসন ও জাতীয়তা আইন (INA) অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদের সমর্থনে জড়িত বা ‘হামাস’-এর মতো সংগঠনের প্রতি সমর্থন জানানো ব্যক্তিরা মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য।
শিহাব