
ছবি: গ্রেফতারকৃত প্রেমিকা ও তার বাবা
বরিশাল নগরীর কলেজ এভিনিউতে ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। প্রেমের ফাঁদে ফেলে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয় বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটনায় জড়িত প্রেমিকা হাফিজা বেগম শান্তা (৩১) এবং তার বাবা শওকত হোসেন মোল্লাকে (৬৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে বরিশালের নথুল্লাবাদ এলাকা থেকে এই দু’জনকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল কলেজ এভিনিউর জিমি ভবনের দোতলায় ঘটে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড। নিহত মাসুদুর রহমান একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ছিলেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, পরকীয়াজনিত সম্পর্কের টানাপোড়ন থেকে শুরু হওয়া বাকবিতণ্ডা একপর্যায়ে রূপ নেয় ভয়াবহ রক্তাক্ত হামলায়। প্রেমিকা শান্তা ও তার সহযোগীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন মাসুদুর।
স্থানীয়রা আহত অবস্থায় মাসুদুরকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ভিকটিমের ভাই থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে।
তদন্তে বেরিয়ে আসে, মাসুদুরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের আড়ালে শান্তা দীর্ঘদিন তার কাছ থেকে অর্থ আদায় করে আসছিলেন। ঘটনার দিন শান্তা মাসুদুরকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে মাসুদুর রাজি না হওয়ায় শুরু হয় তীব্র বাকবিতণ্ডা। একপর্যায়ে শান্তা ও তার সহযোগীরা মাসুদুরকে মারধর করে এবং তার সঙ্গে থাকা ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
খোকন/রবিউল