
ছবি: সংগৃহীত
পহেলা বৈশাখের আনন্দে রঙ ছড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নড়াইলের দলজিতপুর পালপাড়ার কুমাররা। তারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিরলসভাবে তৈরি করছেন বাহারি মাটির তৈজসপত্র ও খেলনা। মেলা সামনে রেখে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
স্থানীয় কুমার শিবুপদ পাল ও তার স্ত্রী স্বপ্না পাল জানান, তারা ভোর থেকে কাজ শুরু করেন- হরিণ, ঘোড়া, ফলসহ নানা ধরনের পুতুল ও খেলনা তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছেন তারা। শুধু দলজিতপুর নয়, নড়াইলের অন্যান্য পালপাড়াগুলোতেও চলছে এমনই প্রস্তুতির দৃশ্য।
তবে মেলা ঠিক কোথায় এবং কতটা পরিসরে হবে, তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকলেও কুমাররা থেমে নেই। জেলা শিল্পকলা একাডেমি, এসএম সুলতান মঞ্চসহ বিভিন্ন স্থানে মেলার আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে।
শিবুপদ পাল বলেন, “আমাদের এখন প্রচণ্ড ব্যস্ততা। কাল মেলা শুরু হবে, সেই অনুযায়ী পণ্য প্রস্তুত করছি। ঘোড়াপটের মেলা ও চৈত্র সংক্রান্তির মেলাও সামনে।”
এদিকে পহেলা বৈশাখ ঘিরে মুন্সিগঞ্জের মীরকাদিম মৎস্য আরতেও দেখা গেছে ভিড়। পান্তা-ইলিশের জনপ্রিয়তাকে কেন্দ্র করে ইলিশের দাম বেড়ে গেছে প্রায় আকাশচুম্বী পর্যায়ে। প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২,৫০০ থেকে ৩,০০০ টাকায়।
যদিও ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা ইলিশ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ, তবুও দেখা গেছে বাজারে জাটকার অবাধ বিক্রি। ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, প্রশাসনের নজরদারির অভাবে ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ নিচ্ছেন।
বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম ও চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে যা ছিল ১,২০০ থেকে ১,৭০০ টাকা, পহেলা বৈশাখের আগে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১,০০০ টাকা বেশি।
ফলে ইলিশপ্রেমী বাঙালিদের উৎসবের বাজারে কিছুটা হতাশাও লক্ষ্য করা গেছে।
মেহেদী হাসান