
সাম্প্রতিক সময়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় চলমান বিভিন্ন বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে ভিত্তিহীন এবং খণ্ডিত তথ্য সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ করেছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। এর ফলে বিসিএস পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে এবং পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
পরীক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট মহলের মধ্যে থাকা এসব বিভ্রান্তি দূর করতে পরীক্ষার বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন। ৪৪তম, ৪৫তম এবং ৪৬তম বিসিএস জট নিরসনেও কাজ চলছে বলে জানানো হয়েছে।
রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার আবশ্যিক বিষয়সমূহ চলতি বছরের ৮-১৯ মে মধ্যে এবং পদসংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ সম্ভাব্য জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে ৭ জুলাই ২০২৫ এর মধ্যে সম্পন্ন হবে।
এছাড়াও ২২ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৪তম বিসিএস-এর মৌখিক পরীক্ষায় ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত থাকবে এবং স্থগিত মৌখিক পরীক্ষাসমূহ ১৬ জুন ২০২৫ এর পরে দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করা হবে। স্থগিত মৌখিক পরীক্ষাসমূহের পরিবর্তিত শিডিউল অতিসত্বর জানিয়ে দেয়া হবে। ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্তফল জুন ২০২৫ এর মধ্যে প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ফলাফল জুন ২০২৫ এর মধ্যে প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ৪৭তম বিসিএস-এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পূর্ব-ঘোষিত তারিখ ২৭ জুনের পরিবর্তে ৮ আগস্ট ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে।
এতে আরও বলা হয়, বিসিএস ৪৪তম, ৪৫তম এবং ৪৬তম নিয়ে সৃষ্ট জট নিরসনকল্পে সকল বিসিএস প্রার্থীদের উদ্বেগ বিবেচনায় রেখে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যমান জট সমাধানের জন্য বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন সবোর্চ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা গ্রহণের জন্য অপরিহার্য কিছু বিষয় যেমন প্রশ্নপত্র ছাপানো, পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচন ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনায় কমিশনকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করতে হয়। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক সময়ে সময়ে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ জানার জন্য প্রার্থীদের কমিশনের ওয়েব সাইটে নিয়মিত দৃষ্টি রাখা এবং কমিশনের ওয়েব সাইটে একমাত্র নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র হিসাবে বিবেচনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
আফরোজা