
ছবি: সংগৃহীত।
বাংলা নব বর্ষ এ দেশের একটা প্রাচীনতম ঐতিহ্য। পহেলা বৈশাখ পালনের মধ্যদিয়া এদেশের নরনারী ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রেখেছে। পৃথিবীর প্রাচীন এবং নবীন উৎসবের একটা সাধারণ অঙ্গ হলো পহেলা বৈশাখের আমোদ- প্রমোদ, আহার, নৃত্য ও সঙ্গীত।
নতুনের বিজয়- কেতন। বাংলা মাস গননার সুবিধার জন্য বৈশাখ মাস হইতে ভাদ্র মাস পর্যন্ত প্রতিমাস ৩১ দিন এবং আশ্বিন মাস হইতে চৈত্র মাস পর্যন্ত প্রতি ৩০ দিন পর্যন্ত গননা করা হয়। মোঘল আমলে বাদশাহ আকবরের সময় এই বঙ্গাব্দ প্রচলন করা হয়েছিল।
হিজরি সন থেকেই বাংলা সনের জন্ম হয়।
সম্রাট আকবরই বাংলা সনের প্রবর্তক। কোন কোন সময় এই সনটিকে ফসল তোলার সন বলা হতো।
এই পহেলা বৈশাখের লক্ষ্য ছিল পরিবারের কৃষির সমৃদ্ধির কামনা। বিগত বছরের পাপ মোচন ও নতুন বছরের সুখ কামনা করা হতো। প্রাচীনকালে চৈত্রসংক্রান্তি ও নববর্ষের জোড়া উৎসব পালন করা হতো। সেই থেকে বাংলা নব বর্ষের উৎসব এখন বাংলা বর্ষপঞ্জি বৈশাখ মাসের প্রথম দিনে পালন করা হয়।
পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নব বর্ষ মানুষে মানুষে পরস্পর মিলন মেলা। বৈশাখের এই রৌদ্রদগ্ধ প্রথম দিনটিকে ঘিরেই কৃষকের নতুন নতুন চিন্তা- চেতনা, পালা- পার্বণ, মাসের দিনক্ষণ হিসাব নিকাশ করা হয়। পহেলা বৈশাখ বা নববর্ষ উদযাপন আজ জাতির সার্বজনীন উৎসব।
সায়মা ইসলাম