
ছবি: সংগৃহীত।
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি মোনাজাতের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৪টায় মোনাজাত শুরু হয়ে শেষ হয় ৪টার দিকে। মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক। ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেন কয়েক লাখ মানুষ।
এর আগে, পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ কর্মসূচির সূচনা হয়। এরপর উপস্থিত জনতাকে স্লোগানে উজ্জীবিত ও বক্তব্যে অনুপ্রাণিত করেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ এবং প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী। এসময় উপস্থাপনায় ছিলেন মুফতি রেজাউল করিম আবরার।
বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ড. মিজানুর রহমান আজহারী মঞ্চে উঠে জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। তিনি স্লোগান তোলেন, “আমার ভাই শহিদ কেন? জাতিসংঘ, জবাব চাই।” তার এ স্লোগানে মুহূর্তেই মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। আরও স্লোগান ওঠে— “ফিলিস্তিন, ফিলিস্তিন—জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ”, “আল কুদস—জিন্দাবাদ”।
বক্তব্যে আজহারী বলেন, “এই গণসমুদ্র প্রমাণ করে, আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়ে একটি করে ফিলিস্তিন বসবাস করে।” তিনি আরও বলেন, “মার্চ করতে গিয়ে বাধা-বিপত্তি সয়েছি, তবুও আজ বুঝতে পেরেছি—বাংলাদেশের মানুষ ফিলিস্তিন ও আল আকসার পক্ষে।”
এর আগে সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে আজহারী লেখেন, “আজকের মার্চ ফর গাজা নিছক কোনো পদযাত্রা নয়, এটি আমাদের এ অঞ্চলের মুসলমানদের ঐক্যের একটি নতুন সেতুবন্ধ রচনা করবে, ইনশাআল্লাহ।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, “মজলুম গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানাতে এই মুহূর্তে আছি ‘মার্চ ফর গাজা’র পথে। মানবতার এই মিছিলে প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে আপনিও অংশ নিন।”
এ কর্মসূচিতে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, শিল্পী-সাহিত্যিক, কবি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় ব্যক্তিরাও অংশ নেন। দলমত নির্বিশেষে সকলে এক কাতারে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে এবং ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেন।
সায়মা ইসলাম