ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ৩০ চৈত্র ১৪৩১

এই সরকারকে কারা ৫ বছর চায়? স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে নাসিরের প্রশ্ন

প্রকাশিত: ০০:৫৬, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

এই সরকারকে কারা ৫ বছর চায়? স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে নাসিরের প্রশ্ন

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন নাসির সম্প্রতি দেশ টিভির একটি টকশোতে অংশ নিয়ে বর্তমান সরকারের অবস্থান ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

নাসিরউদ্দিন নাসির বলেন, “আমি গত কয়েকদিনের আলোচনায়—বিশেষ করে যদি আমরা স্পেসিফিক করি—সেটা হচ্ছে সিলেটের যে আমাদের এখনকার উপদেষ্টাদের মধ্যে যিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রয়েছেন, তিনি গণমাধ্যমে বলেছেন যে মানুষজন এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পাঁচ বছর থাকুক—এটা চায়। আমি বিনয়ের সহিত মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলতে চাই: মানুষ কি উনাকে এসএমএস করে বলেছে, নাকি বাংলাদেশের সব মানুষ উনার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করে বলেছে যে মানুষ এই সরকারকে পাঁচ বছর রাখতে চায়? মানে মানুষ কীভাবে উনার সঙ্গে কানেক্ট হলো বা কারা বলেছে, এটা উনার কাছে সবিনয়ে জানতে চাই।”

তিনি বলেন, “আমরা গত সাড়ে পনেরো বছর ধরে দেখেছি, যারা অবৈধভাবে ক্ষমতার দখলে ছিল—বিশেষ করে খুনি হাসিনা—যখনই দেখতেন যে তিনি কোনো একটা বিদেশ সফর করে এসেছেন, তখনই সাংবাদিকদের সামনে বলতেন যে জনগণ তাকে চায়, এই জন্য তিনি ক্ষমতায় রয়েছেন। আমরা সেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কথাতেই সেই প্রতিধ্বনি দেখতে পাই।

“এখন আমাদের প্রশ্ন—স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে—জনগণ উনার কাছে কীভাবে জানালো? উনি জনগণের সঙ্গে কীভাবে কানেক্ট হলেন, যখন কোনো ভোটই হলো না, কোনো যোগাযোগও ছিল না? একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের যোগাযোগের মাধ্যমই হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচন ব্যতীত কোনো যোগাযোগের মাধ্যম নাই। সুতরাং এরকম বক্তব্য আমরা ওয়ান-ইলেভেনে দেখেছি—তখনও বিরাজনৈতিকরণ চলছিল। তখন একটি পক্ষ সবসময় চেয়েছিল ওয়ান-ইলেভেনের সরকারকে দীর্ঘমেয়াদি করতে। আমরা এটি নব্বই সালেও দেখেছি।”

“এখন ২০২৪ সালে একটি সফল গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, যেখানে দুই হাজারের বেশি ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন। সেই গণঅভ্যুত্থানে আমরা আবার বিরাজনৈতিকরণ দেখছি। একই সঙ্গে গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের যে অগাধ শ্রদ্ধা, সেই জায়গাকে ভুলুন্ঠিত করে এখনকার সরকার, স্টেকহোল্ডার বা সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে আমরা মনে করি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪—এই তিনটি নির্বাচনে যদি মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারত, তাহলে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তৈরি হতো না। গণঅভ্যুত্থানের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনই হচ্ছে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। এবং সরকার প্রতিষ্ঠার আগে একটি নির্বাচনের জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।”

“কিন্তু আমরা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যেভাবে দেখছি, তাতে মনে হচ্ছে তারা সেই বিষয়ে ধীরে ধীরে সরে আসছে। বরং দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যেখানে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার কথা ছিল। এই পুরো প্রক্রিয়াটি আমাদের কাছে বিরাজনৈতিকরণের প্রাথমিক পদক্ষেপ বলেই মনে হচ্ছে।”

সূত্রঃ https://www.youtube.com/watch?v=lxpqfKROMK4

ইমরান

×