ছবি: সংগৃহীত
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের ছনকা এলাকার খালের ওপর নির্মিত সেতুটি দীর্ঘ দিনেও সংস্কার না হওয়ায় এখন ভয়ঙ্কর ঝুঁকির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে নির্মিত ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটির পাটাতন, রেলিং ও দু'পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। সেতুটি দু'পাশে কাত হয়ে পড়ায় অনেক অগেই যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পার হচ্ছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুর দুইপাশে সংযোগ সড়কে মাটি না থাকায় স্থানীয়রা বাঁশের মাচাল তৈরি করে পারাপারের ব্যবস্থা করেছেন। বর্ষায় নদীর স্রোতে বারবার মাটি ধসে পড়ে এবং বালু উত্তোলনকারীরা পিলারের নিচ থেকে মাটি কেটে নেওয়ায় সেতুটি কাত হয়ে গেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।সেতুটি দিয়ে আগে অন্তত ১০টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ চলাচল করতেন। বর্তমানে বিকল্প রাস্তা না থাকায় শিক্ষার্থী, কৃষকসহ সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বহুদূর ঘুরে বাজারে নিয়ে যেতে হচ্ছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া-আসাও হয়ে পড়েছে কষ্টসাধ্য।
স্থানীয় বাসিন্দা আরফান আলী বলেন, প্রতিদিনই এই সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করি। সেতুটি পার হলেই ছনকা বাজার। আগে যেখানে যেতে ১০ মিনিট লাগতো, এখন ঘুরে যেতে লাগে এক ঘণ্টার বেশি।
সাইদুর রহমান নামের স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, প্রতিবছর স্থানীয়রা নিজেরাই ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে সেতুর পাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে। সংযোগ সড়কে মাটি না থাকায় বর্ষায় আরও দুর্ভোগ বেড়ে যায়। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি।
বরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল মজিদ বলেন, সেতুটি দিয়ে চলাচল এখন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পাশে কবরস্থান থাকায় মৃতদেহও এই পথ দিয়ে আনা-নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই সেতুটির দ্রæত সংস্কার দরকার।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খলিলুর রহমান মোল্লা বলেন, সেতুটির বিষয়ে আগে জানা ছিল না। তবে সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শনের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীর দাবি , দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন একটি সেতু নির্মাণ করে চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক, যাতে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হয়।
মোঃ মাহবুবুর রহমান রানা/মেহেদী হাসান
