ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ৩০ চৈত্র ১৪৩১

শোভাযাত্রার ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতিতে আগুন লাগিয়েছেন যিনি!

প্রকাশিত: ১৭:০৫, ১২ এপ্রিল ২০২৫

শোভাযাত্রার ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতিতে আগুন লাগিয়েছেন যিনি!

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইসরাফিল রতন জানিয়েছেন, ভোররাতে সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে কালো শার্ট ও জিন্স পরা, মুখে মাস্কধারী একজন যুবক প্রতিকৃতিতে আগুন ধরিয়ে দেন। প্রথমবার আগুন জ্বলেও নিভে যায়, পরে তিনি আবার আগুন লাগান। ঘটনাস্থলে তার আচরণ ছিল অত্যন্ত ধীরস্থির, কোনো ধরনের তাড়াহুড়ো বা উদ্বেগের প্রকাশ ছিল না।

আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোরে ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’ নামে পরিচিত এই মোটিফে আগুন লাগিয়ে দেয় এক ব্যক্তি। এতে প্রতিকৃতিটি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে।

এখনও পর্যন্ত ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে তার চলাফেরা দেখে অনুমান করা হচ্ছে, চারুকলার আশপাশের পরিবেশ তার জন্য পরিচিত ছিল। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম চঞ্চল জানান, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়— এটি পরিকল্পিত হামলা এবং নির্দিষ্টভাবে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিকে’ লক্ষ্য করে আগুন লাগানো হয়েছে। একইসঙ্গে ওই মোটিফের অংশ ‘শান্তির প্রতীক পায়রা’-র অবয়বটিও আগুনে পুড়ে গেছে। আগুন লাগার সময় ছিল আনুমানিক ভোর ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে।

উল্লেখ্য, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজন করা আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য চারুকলায় তৈরি করা হয়েছিল প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার একটি দৈত্যাকৃতির প্রতিকৃতি। বাঁশ ও বেতের কারুকাজে নির্মিত এই মোটিফে ছিল একটি ভয়াল মুখাবয়ব—যেটিকে ‘ফ্যাসিস্ট প্রতিকৃতি’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। এই প্রতিকৃতির দুই পাশে শিংয়ের মতো অবয়বও ছিল, যা দর্শকদের কাছে একটি প্রতীকী বার্তা দেওয়ার জন্যই নির্মাণ করা হয়। সংশ্লিষ্টদের মতে, এটিই ছিল এবারের শোভাযাত্রার মূল আকর্ষণ।

বর্তমানে ঘটনাটি ঘিরে চারুকলায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, চারুকলা অনুষদ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শনাক্ত ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে।

ফারুক

×