ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

ছেলে নিয়ে যুদ্ধে যেতে পাসপোর্ট হাতে মার্চ ফর গাজা’য় উপস্থিত বাবা

প্রকাশিত: ১৩:৫৫, ১২ এপ্রিল ২০২৫

ছেলে নিয়ে যুদ্ধে যেতে পাসপোর্ট হাতে মার্চ ফর গাজা’য় উপস্থিত বাবা

ছবি: সংগৃহীত

ছেলে নিয়ে যুদ্ধে যেতে পাসপোর্ট হাতে মার্চ ফর গাজা'য় উপস্থিত হয়েছেন একজন বাবা। তিনি বলেন, ‘পাসপোর্ট নিয়া আইছি, শইলে আর মানতেছে না, ফি লি স্তি নে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। আমি একজন সাধারন মানুষ, একজন সাধারণ মুসল্লী। ফিলিস্তিনের কষ্ট আর সহ্য করতে পারছি না। আমি এবং আমার ছেলে আল আকসার জন্য জীবন দিতে চাই। আমার জীবনের বিনিময়ে অন্তত একজন বাবা বেঁচে থাকবেন আমার ছেলের জীবনের বিনিময়ে অন্তত একজন শিশু বেঁচে থাকবেন।'

গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে আজ রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘মার্চ ফর গাজা’ নামক এক ব্যতিক্রমধর্মী গণজমায়েত। বিকেল ৩টায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই জনস্রোত ভিড় জমাতে শুরু করে উদ্যানে ও তার আশপাশের এলাকায়।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি প্রবেশদ্বারে দেখা গেছে মানুষের দীর্ঘ লাইন। একের পর এক মিছিল আসছে নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। হাজারো মানুষের কণ্ঠে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। মিছিল থেকে ভেসে আসছে প্রতিবাদের গর্জন। অংশগ্রহণকারীদের অনেকের হাতেই রয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও ফিলিস্তিনের পতাকা।

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে – ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান বর্বরোচিত ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বজনমত গঠন, মানবিক সহানুভূতি জাগ্রত করা, এবং নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করা।

বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে কর্মসূচি চলবে মাগরিবের নামাজের পূর্ব পর্যন্ত। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এটি কোনো রাজনৈতিক বা দলীয় অনুষ্ঠান নয়; বরং মানবিক মূল্যবোধ, মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের পক্ষে একটি সর্বজনীন অবস্থান।

উদ্যানের পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর হলেও হৃদয়ে ছিল শোক ও প্রতিবাদের তীব্র সুর। বক্তব্য, ব্যানার, পোস্টার ও শ্লোগানে একটাই বার্তা – “গাজায় গণহত্যা বন্ধ করো”, “মানবতা বাঁচাও” এবং “নিপীড়িতের পাশে দাঁড়াও”।

ফারুক

×