ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

রাজধানীর সাত কলেজ নিয়ে হতে যাওয়া ভিন্নধর্মী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যা জানা গেলো

প্রকাশিত: ১১:২৪, ১২ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১১:২৫, ১২ এপ্রিল ২০২৫

রাজধানীর সাত কলেজ নিয়ে হতে যাওয়া ভিন্নধর্মী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যা জানা গেলো

ছ‌বি: সংগৃহীত

কোন ধরনের সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই ২০১৭ সালে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। শিক্ষার মান উন্নয়নের কথা বলা হলেও এই প্রক্রিয়ায় সেশন জটসহ ভোগান্তি বাড়ে শিক্ষার্থীদের। সবশেষ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও দাবির মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা করা হয় সাত কলেজকে। সিদ্ধান্ত হয় ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নামে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার।

কেমন হবে প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থীর এই বিশ্ববিদ্যালয়, এমন প্রশ্নে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বলছে নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে সাত কলেজের সব ক্যাম্পাসে সব বিষয় পড়ানো হবে না। যে ক্যাম্পাসে যে অনুষদ ও বিভাগ পড়ানোর উপযুক্ত সেখানেই সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও অনুষদের কার্যক্রম চলবে। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে মঞ্জুরী কমিশনের টিম ইতমধ্যে ক্যাম্পাসগুলো পরিদর্শন করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, "এডমিশনে খুব বেশি ছাত্র আমরা বেশি সিট আনবো না এখানে। দুই তিনটে কলেজে যে ইনফ্রাস্ট্রাকচার এটা অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় আছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কাজ করার মত অবস্থায় নাই। এগুলো বিবেচনায় রেখে আমাদেরকে তো কিছু করতে হবে।" তিনি আরও বলেন, "ঢাকা ইউনিভার্সিটির সার্টিফিকেট এখনো দিতে হবে। যারা পার্টিকুলার স্টুডেন্ট, সেখানে ফরমেটটা কি হবে সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করব।"

পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত ইউজিসির তত্ত্বাবধানে অন্তর্বর্তীকালীন কাঠামোর অধীনে চলবে সাত কলেজের কার্যক্রম। সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন সাত কলেজের একজন অধ্যক্ষ থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর, ভর্তি দপ্তর, রেজিস্টার দপ্তর ও হিসাব দপ্তরের প্রতিনিধিরাও।

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিয়েছে কিন্তু তারা একটা জিনিস কমিটমেন্ট করেছে যে তারা দায়িত্বশীল আচরণ করবেন। অর্থাৎ এই যে লক্ষাধিক ছাত্র যারা আছে তাদেরকে তারা ছেড়ে দিবেন না, ফেলে দিবেন না। তাদের এই চলমান প্রক্রিয়াটা উনারা চালিয়ে যাবেন।"

নতুন এই সিদ্ধান্তে আশার আলো দেখেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে আসন সংখ্যা কমিয়ে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং যুক্ত করাসহ নানা দাবি তাদের।

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=mEhaQkF2tJE

আবীর

আরো পড়ুন  

×