
ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে আসছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এরই মধ্যে চীনের সঙ্গে যৌথভাবে একটি বিশ্বমানের হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বাংলা ইউএস এলএলসি ঢাকায় আরেকটি আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে।
রাজধানীতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনের মঞ্চ থেকে প্রতিষ্ঠানটির সিইও ড. মমতাজুর রহমান এ ঘোষণা দেন। তিনি জানান, এটি শুধুমাত্র একটি বিনিয়োগ প্রকল্প নয়, বরং তার দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বপ্নের বাস্তবায়ন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে রাজধানীর পূর্বাচলে ২০০ বিঘা জমি বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যেই হাসপাতালটির নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্যে তারা কাজ করছে।
হাসপাতালটিতে সম্পূর্ণরূপে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। ট্রাফিক জট এড়াতে রোগী পরিবহনের জন্য হেলিকপ্টার সেবাও চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
ড. মমতাজুর রহমান আরও জানান, হাসপাতালটি চালু হলে প্রতিবছর চিকিৎসার জন্য যে বিপুল সংখ্যক মানুষ ভারতে যায়, সেই প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে কমবে এবং দেশীয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও, প্রকল্পের আওতায় একটি নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্প কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। সবমিলিয়ে প্রকল্পটিতে ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে, যা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও শিল্প খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
উল্লেখ্য, এর আগে করোনাকালীন সময়েও তুরস্ক, সৌদি আরব এবং আরেকটি দেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তারা বলেছিল, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে যেসব মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান, তাদের কথা মাথায় রেখেই তারা এই আগ্রহ দেখাচ্ছে। তবে সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। বিশ্লেষকদের মতে, সে সময় ভারতকে সহযোগিতা করতেই সেই প্রস্তাব নাকচ করা হয়েছিল।
স্বাস্থ্য খাত বিশ্লেষকদের মতে, এবার যদি এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়, তবে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে এবং সাধারণ মানুষ বিশ্বমানের সেবা দেশে বসেই পাবে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=3boDZ9Wyi64
সায়মা ইসলাম