
ছবিঃ সংগৃহীত
এই দেশের বেশীরভাগ শিক্ষিত মানুষ ইউনিভার্সাল ভোটের বিরোধী এবং প্রবলভাবে এন্টি পিপল বলে মন্তব্য করেছেন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফাহাম আবদুস সালাম। তার ব্যক্তিগত ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি বহু জায়গায় শুনেছি যে আমি খুবই রেসিস্ট। এই অভিযোগটা আমার কাছে হাস্যকর লাগে। হাস্যকর লাগে ওই কারণে যে আমি আমার মতো নন-রেসিস্ট বা নন-ডিস্ক্রিমিনেটরি মানুষ জীবনে আসলেও দেখি নাই। অবশ্যই আছে, কিন্তু আমার চোখে পড়ে নাই। যারা আমাকে ব্যক্তি জীবনে চেনেন, তাদেরকে এর সত্যতা জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন।
ফাহাম বলেন, অন্যদিকে বাংলাদেশের একজন শিক্ষিত মানুষ, বিশেষ করে বামপন্থীরা প্রবলভাবে এন্টি-পিপল মানুষ। এই জিনিসটা তারা খুবই কায়দা করে লুকায়।
খেয়াল করবেন যে বাংলাদেশের শিক্ষিত মানুষেরা প্রকৃত গণতন্ত্রের জন্যেই আসলে নির্বাচন চান না। সাধারণ মানুষের ফ্র্যাঞ্চাইজ তারা আটকাতে চায়।
যেই নির্বাচনে আমার পছন্দের লোকটা হারে-সেই নির্বাচনটা লুটেরা কিংবা জঙ্গীদেরকে ক্ষমতায় আনে। আর কিছু করে না। তাই সেই নির্বাচন ভালো না।
আমি বলছি যে মানুষ যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দিক। এবসোলিউটলি যাকে ইচ্ছা দিক। এও বলছি যে আপনার ইচ্ছা না হলে বিএনপিকে ভোট দিয়েন না। সেটাই উচিত। অন্য কাওকে দেন। ২০১৩ থেকে বলছি। আমি লুটেরা না হলেও অন্তত র এর এজেন্ট। আর যে কোনো ম্যান্ডেট ছাড়া ৫ বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়-সে কিন্তু গণতন্ত্রের মর্মশাশ কী-এইটা বুঝে ফেলছে।
এই দেশের প্রতিটা শিক্ষিত মানুষ গণতন্ত্র চান কিন্তু নির্বাচন চান না। ব্যাপারটা খুবই মজার। এই দেশে যে নির্বাচন চায়-সে লুটেরা আর যে মানুষের ম্যান্ডেট ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে চায়-সে প্রকৃত গণতন্ত্রী।
এর কারণ কী?
কারণ এই দেশের বেশীরভাগ শিক্ষিত মানুষ আসলে ইউনিভার্সাল ভোটের বিরোধী এবং তারা প্রবলভাবে এন্টি পিপল। তারা নিজের জাতের বাইরে কাওকে ভোটের অধিকার দিতে রাজী না। এই কথাটা আধুনিক বিশ্বে বলা যায় না। সে তাই বলে যে আমরা সংস্কার চাই। নির্বাচন চাই না।
নিজের গণতান্ত্রিক অধিকারকে ফিরিয়ে দিতে চায়-এমন শিক্ষিত জনতা আমি বাংলাদেশ ছাড়া কোথাও দেখি নাই। আশ্চর্য এক ফেনোমেনন।
রিফাত