
ছবি: সংগৃহীত
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, আসন্ন গ্রীষ্মে যদি লোডশেডিং করতে হয়, তাহলে তা প্রথমেই রাজধানী ঢাকা শহরে শুরু হবে। তিনি বলেন, "লোডশেডিং কেবলমাত্র তখনই হয় যখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি থাকে এবং বাধ্য হয়ে সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়। তবে, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার সবসময় যে কারণ লোডশেডিং, তা নয়— অনেক সময় প্রযুক্তিগত কারণে যেমন ফিউজ উড়ে যাওয়া, ট্রান্সফর্মার নষ্ট হওয়া কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা বিদ্যুৎ বিভ্রাট হিসেবে গণ্য হয়, লোডশেডিং নয়।"
তিনি আরও বলেন, রমজান মাসে সরকার লোডশেডিং এড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। যদিও কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না, তবে তা মূলত প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে হয়েছিল। বিদ্যুৎ একটি ২৪ ঘণ্টা চালু থাকা ব্যবস্থা, যেখানে যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো সমস্যার কারণে সরবরাহ বিঘ্নিত হতে পারে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ চাহিদাও বাড়ে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, "আমরা সকলকে অনুরোধ করেছি যেন এসি ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা হয়। কারণ যদি সবাই এই অনুরোধ মেনে চলে, তাহলে এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা কমে যাবে।"
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, "আমি নিজেও দেখেছি—রেলের এক রুমে ঢুকে দেখি এসি তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রিতে সেট করা। এত ঠাণ্ডা থাকার দরকার নেই। আমাদের সবাইকে এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে।"
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি অনেক ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করে—বিশেষ করে আবহাওয়ার ওপর। গরম যত বাড়বে, বিদ্যুৎ চাহিদাও বাড়বে। তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে যেকোনো এলাকায় লোডশেডিং হতে পারে এবং তা শুরু হতে পারে রাজধানী থেকেই— গ্রাম নয়।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/l80TgMKnZZ0?si=vSlLfEz7We14akG4
এম.কে.