
ছবিঃ সংগৃহীত
ঈদের পর রাজধানীর বাজারে ফিরেছে স্বাভাবিক গতি। সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় অনেক পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। ঈদের দ্বিতীয় শুক্রবার মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে বাজার ছিল সরগরম। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় বেশিরভাগ সবজির দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
বাজারে মৌসুম শেষ হওয়ায় ফুলকপি, ব্রোকলি ও শিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে আলু ও পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এক ক্রেতা জানান, “দাম অতটা বেশি মনে হয় নাই, মোটামুটি সহনীয় লেভেলের আছে।”
মাছ-মাংসের দামে মিশ্র প্রভাব দেখা গেছে। গরু ও মুরগির দাম কমলেও, খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাছের দাম কিছুটা বেশি। এক বিক্রেতা বলেন, “গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকার উপরে ছিল, আজ ১৮০ টাকায় বিক্রি করছি। সোনালী মুরগি ২৭০ টাকা, আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি দরে।”
চালের বাজারে কিছুটা উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। বিভিন্ন জাতের চালের দাম কেজিতে দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মিনিকেট চালের দাম তুলনামূলক বেশি।
তেলের বাজারে আবারো দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। এক ক্রেতা জানান, “এই তেলটা আমি আজ কিনেছি ১৫ টাকা বেশি দিয়ে।”
বাজার মনিটরিং ও অবৈধ মজুদ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া গেলে পণ্যমূল্যে আরও স্থিতিশীলতা আসবে বলে মনে করেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। ঈদের পর বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও ভবিষ্যতের জন্য দরকার কার্যকর বাজার তদারকি ও পরিকল্পিত ব্যবস্থা।
ইমরান