
ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখক ও চিন্তাবিদ ফরহাদ মজহার বলেছেন, “যদি ফ্যাসিস্ট বিরোধী লড়াই করতে চান, তাহলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেসব মাজার ভাঙা হয়েছে, সেই মাজারগুলোর পক্ষে দাঁড়ান। এই মানুষগুলোই সত্যিকার অর্থে আমাদের দেশে দীর্ঘকাল ধরে ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।”
তিনি বলেন, “নির্বাচনকে গণতন্ত্র বলে না। মাজার হচ্ছে পাবলিক স্পেস—মানে, এটা আপনাদের জায়গা। এটা একটা গণপরিষদ। এখানে আপনারা নামাজ পড়তে আসেন, মাজারে বেড়াতে আসেন, বসতে আসেন, গান শুনতে আসেন। এবং যে নিরাশ্রয়, যার কেউ নেই, সেও মাজারে আসে একটু খাদ্যের আশায়, কিছু আশ্রয়ের আশায়। আপনারা গরিবদের তাড়িয়ে দিচ্ছেন, নিরাশ্রয়কে তাড়িয়ে দিচ্ছেন, যার আশ্রয় দরকার তাকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন, যার চিকিৎসা দরকার তাকে চিকিৎসা দিচ্ছেন না। রাষ্ট্র সব পারবে না। রাষ্ট্রের পক্ষে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়।
ফরহাদ মজহার আরও বলেন, “আমি সত্য আর তুমি মিথ্যা—এই যে ফ্যাসিজম, এই ফ্যাসিজম যেখানে মানে না, সেটা হলো মাজার। ‘আমি একমাত্র সহি, আর তোমরা সব মিথ্যা, এবার তোমাকে কতল করতে হবে, তোমাকে পেটাতে হবে, তোমাকে তাড়িয়ে দিতে হবে’—না, মাজার এটা মানে না।
তিনি বলেন, মাজার ভক্তির জায়গা, মাজার রূহানী সম্পর্ক তৈরির জায়গা, আলিঙ্গন করবার জায়গা, কোলাকুলি করবার জায়গা। মাজারে শত্রুতা নেই, মাজার শত্রুতা বোঝে না। ফলে মাজার—এর মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা হয়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে উঠতে পারে, যদি এই ধরনের পরিবেশ আমরা বজায় রাখতে পারি।”
সূত্রঃ https://www.facebook.com/watch/?v=1183353742907955&rdid=4y6JGbl9ODYxciFd
ইমরান