
ছবি: সংগৃহীত
নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের সনিক নামে একটি কারখানায় ডায়াস্টিক মেশিন বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই জন শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়েছিল। গত রবিবার (৬ এপ্রিল) রাত সারে ৮টায় এ ঘটনা ঘটেছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই শ্রমিকের মধ্যে খায়রুল ইসলাম(২৫) বৃহস্পতিবার ( ১০ এপ্রিল) বিকালে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে মারা যান।
আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বাদ জুম্মা নীলফামারী জেলা সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের চেংমারী গ্রামে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। তিনি ওই গ্রামের ইয়াকুপ আলীর ছেলে। দগ্ধ আরেক জন সৈয়দপুর উপজেলার উত্তর সোনাখুলি গ্রামের রমজান আলী (২৬) ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উত্তরা ইপিজেডের বেপজার নির্বাহী পরিচালক (ইডি) আব্দুল জব্বার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রকাশ থাকে যে, ঘটনার দিন, রাত সারে ৮টায় সময় শ্রমিকরা রাত্রীকালিক কাজ করছিলেন সনিক নামে একটি খেলনা তৈরীর কারখানায়। সেখানে ডায়াস্টিক মেশিন বিস্ফোরণে আহত শ্রমিক দুইজনকে উদ্ধার করে প্রথমে নীলফামারী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দ্রুত রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় নেওয়া হয়। যা জনকন্ঠ অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত হয়।
বেপজার ইডি আব্দুল জব্বার বলেন, মারা যাওয়া শ্রমিকের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। এরপর বেপজার নিয়ম অনুযায়ী তার পরিবারের জন্য আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি চিকিৎসাধীন আহত শ্রমিকের চিকিৎসার জন্যও অর্থ জোগান দেয়া হচ্ছে।
তাহমিন হক ববী/মেহেদী হাসান