
ছবি: সংগৃহীত
সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ বলেছেন, যখন সারা বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক যুদ্ধের মধ্য দিয়ে নানা দেশের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মুখোমুখি, ঠিক সেই সময় বাংলাদেশকে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন। কারণ, বাংলাদেশ সম্প্রতি নাসার নেতৃত্বাধীন আর্টেমিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।
গত ৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আয়োজিত বিনিয়োগ সম্মেলনে বিশ্বের ৫৪তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশকে এই চুক্তিতে যুক্ত হওয়ার জন্য স্বাগত জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের প্রতিনিধি ও দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আশরাফউদ্দিন এবং চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স টেসি জ্যাকবসন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি টেকসই সম্পর্ক বিরাজ করছে, যা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছে। এই সম্পর্ক আরও জোরদার করতে ওয়াশিংটন অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও জানানো হয়।
ফিরোজ বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণায় অংশ নিচ্ছে এবং শান্তিপূর্ণ অন্বেষণের মাধ্যমে নতুন দিগন্তে প্রবেশ করছে। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও আরও সাতটি দেশ মিলে ‘আর্তেমিস অ্যাকর্ডস’ নামে এই মহাকাশ চুক্তির সূচনা করে। এর উদ্দেশ্য হলো মহাকাশে শান্তিপূর্ণ অনুসন্ধান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহযোগিতা এবং মহাকাশ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা তৈরি করা।
বিশ্ব রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপটে, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শুল্ক যুদ্ধ চলছে এবং বিভিন্ন দেশ এই টানাপোড়েনে জড়িয়ে পড়ছে, তখন বাংলাদেশের এই চুক্তিতে অংশগ্রহণ এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে স্বাগত বার্তা পাওয়া নিঃসন্দেহে কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। মোস্তফা ফিরোজ মনে করেন, এই চুক্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ শুধুমাত্র মহাকাশ গবেষণার অংশীদার নয়, বরং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির অংশীদার হিসেবেও নিজেদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করছে।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/6M4xA6Gxtv4?si=1S1evFRsjdhFmeAM
এম.কে.