
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশকে ঘায়েল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ভারত। মোদি সরকারের লক্ষ্য-যেকোনো মূল্যে ঢাকার বুকে ‘বিষ দাঁত’ বসানো। কূটনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠেছে, দিল্লি এখন শুধু একটা সুযোগের অপেক্ষায়। কৌশলে সুযোগ পেলেই বাংলাদেশকে বেকায়দায় ফেলতে ঝাঁপিয়ে পড়বে তারা। তবে বহুবার চেষ্টার পরও বারবার ব্যর্থতায় ফিরছে ভারত, আশার সলতের তেল ফুরিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু সেই আশা আর পূরণ হচ্ছে না।
বিশ্লেষকদের মতে, শেখ হাসিনাকে হারিয়ে ভারত এখন যেন এক ক্ষুব্ধ প্রেমিক, যিনি প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের ক্ষতি করার অজুহাত খুঁজছে দিল্লি। হঠাৎ করেই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত তারই প্রমাণ।
ভারতীয় গণমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, চীনে অবস্থানকালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সেভেন সিস্টারস অঞ্চল নিয়ে মন্তব্য করায় এর প্রতিক্রিয়ায় দিল্লি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের ভাষায়, “বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কার্যত স্ট্রাইক চালিয়েছে মোদি সরকার।”
কিন্তু এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের কোনো বড় ক্ষতি হবে না বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা তো পাঁচ বছর আগেই চালু হয়েছিল। তার আগে তো বাংলাদেশ না খেয়ে ছিল না! বরং ভারত নিজের আঙুলে সুচ ফুটিয়ে বাংলাদেশের সর্বাঙ্গে ব্যথা হচ্ছে ভেবে বসেছে।
চীন সফরে ড. ইউনুস বলেন, ভারতের সেভেন সিস্টারস অঞ্চল সমুদ্রবিহীন এবং বাংলাদেশ এই অঞ্চলের জন্য একমাত্র সমুদ্রপথ। তিনি বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ আহ্বানও জানান, যা ভারতের চোখে এক ধরনের ‘মারাত্মক অপরাধ’ হিসেবে প্রতিফলিত হয়েছে।
ফলে দিল্লির মাথাব্যথা বেড়েছে। তাদের কাছে এটা শুধু কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ নয়, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত হুমকিও। তারা এখন আতঙ্কে ভুগছে-যদি বাংলাদেশ পাল্টা ব্যবস্থা নেয়, তাহলে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো বড় ধাক্কা খেতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ধর্মীয় উগ্রবাদকে পুঁজি করে ক্ষমতায় টিকে থাকা মোদি সরকার এখন নিজেরই পাতা ফাঁদে পা দিতে বসেছে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=Re6ZDd-TomU
মেহেদী হাসান