
ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা বাংলাদেশের জন্য একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, “আমরা সিস্টেমেটিক্যালি এ ধরনের সমস্যা আগে ফেস করিনি। করলেও এ ধরনের প্রচেষ্টা আগে নেওয়া হয়নি। এ প্রথম আমরা এই উদ্যোগ নিচ্ছি। এজন্য আমরাই এখন শিখছি—কীভাবে এটা করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এটা দেশের আইনে শুধু হবে না, বিদেশিদের সঙ্গে আমাদের সংযোগ স্থাপন করতে হবে। আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সংগতি রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে এবং সেটার মাধ্যমেই অর্থ ফেরতের চেষ্টা করতে হবে।”
প্রথম ধাপে পাচার হওয়া সম্পদকে স্থিতিশীল অবস্থায় আনার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, “আমরা অ্যাসেটগুলোকে ফ্রিজ করার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনা চলছে এবং মিউচুয়াল লিগাল অ্যাসিস্ট্যান্সের বিষয়ে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ল ফার্মের সঙ্গে কথা বলেছি এবং খুব শিগগিরই তাদের হায়ার করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমরা এমন ল ফার্মের সাথে যোগাযোগ করছি, যারা অ্যাসেট ট্রেসিংয়ের কাজ করে—মানে কার সম্পদ কোথায় আছে, সেটা খুঁজে বের করা। যদিও আমরা কিছু তথ্য জানি, তবে সেগুলো ভাসা ভাসা। স্পেসিফিক, এক্স্যাক্ট ডকুমেন্টেশন ছাড়া কোনো তথ্য কোর্টে গ্রহণযোগ্য হবে না।”
এই কাজের জন্য বিদেশি অ্যাসেট ট্রেসিং ফার্মগুলোর সহায়তা নেওয়া হবে জানিয়ে গভর্নর বলেন, “তাদের সহায়তায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, কোম্পানি বা সম্পদের সুনির্দিষ্ট তথ্য শনাক্ত করতে হবে। আমরা এখনই কিছু সহযোগিতা পাচ্ছি, তবে কাজটা মোটেও সহজ নয়। এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।”
তবে আশাবাদী হয়ে তিনি জানান, “আমাদের লক্ষ্য আগামী ৬ মাসের মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশের অ্যাসেট ফ্রিজ করা। এটাকে আমরা ইনিশিয়াল অ্যাচিভমেন্ট হিসেবে দেখছি। একবার ফ্রিজ হলে এরপর বিষয়টি কোর্টে যাবে, সেখানে মামলা মোকদ্দমা হবে। এরপরই সেই অ্যাসেট ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।”
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/v/15njsy4HUi/
মারিয়া