
সাঈদ আব্দুল্লাহ
বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ নিয়ে সাঈদ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি এই আইনের অপপ্রয়োগ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, এবং সরকারি কর্তৃত্বের দমনমূলক আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ফেসবুকে সাঈদ লিখেছেন, “The Special Powers Act, 1974 (বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪) একটা নিবর্তনমূলক আইন। প্রয়োগের চেয়ে এই আইনের অপপ্রয়োগই হয় বেশি। জন্মলগ্ন থেকেই এই আইনটা ছিলো দমনপীড়নের টুল।”
তার মতে, এই আইনের বর্তমান রূপ দিয়ে যেকোনো সরকারই মানুষের অধিকার হরণ করতে পারে। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক যে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এই আইনের আওতায় রাতের বেলা কাউকে গ্রেপ্তার করছে এবং রাতেই কোর্ট বসিয়ে বিচার করছে।”
সাঈদ প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে অপরাধ প্রমাণের জন্য প্রচলিত আইনেই যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে, সেখানে এই নিবর্তনমূলক আইন ব্যবহার করা কেন এত জরুরি হয়ে দাঁড়ায়?
তিনি লিখেছেন, “আমরা যদি একটা বেটার ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশ চাই। তাহলে এই বিশেষ ক্ষমতা আইনের ব্যাপারে আমাদের সক্রিয় এবং সমালোচনামূলক অবস্থান নেওয়া উচিত।”
তিনি মনে করেন, অতীতের সরকার যেমন এই আইনের অপব্যবহার করেছে, তেমনি বর্তমান সরকারও একই পথে হাঁটছে। ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারকেও এই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। কারণ এই আইন রাষ্ট্রীয় বর্বরতার হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।
শেষে তিনি লেখেন, রাষ্ট্রের যদি সত্যিকার অর্থে সংস্কার চান, তাহলে এই ব্যাপারগুলো নিয়ে ক্রিটিক্যাল দৃষ্টিভঙ্গি রাখুন। মূলত এই টুলগুলোই রাষ্ট্র এবং সরকারকে অসভ্য বানায়।
আশিক