
ছবি: সংগৃহীত
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে বলেন, সাড়ে নয় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে ৫৬০ টা মসজিদ করা হয়েছে। পরে আরো চারটা যোগ হয়ে ৫৬৪ টা মসজিদ নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। আমরা আসার আগে ইতিমধ্যে ৩০০ মসজিদ নির্মিত হয়ে গেছে। এখানে কিছুটা অব্যবস্থাপনা আছে। আমি সব মসজিদে দুর্নীতি হয়েছে পাইকারিভাবে বলবো না। কিছু কিছু মসজিদের ক্ষেত্রে দুর্নীতি অব্যবস্থাপনা নির্মাণ ত্রুটি এগুলোর অভিযোগ আছে। এমনকি সাইট সিলেকশনও প্রপারলি হয়নি পলিটিক্যাল প্রেসারের কারণে।
মসজিদগুলো হওয়ার কথা জেলা হেডকোয়ার্টার বা উপজেলা হেডকোয়ার্টারের দুই তিন কিলোমিটার এর ভিতরে। কিন্তুু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী অথবা এমপি চেয়েছেন উনার গ্রামে নিয়ে যেতে ফলে কিছু মসজিদ একেবারে হেডকোয়ার্টারের বাইরে যেখানে মুসল্লি নাই ওখানে করা হয়েছে। কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে করা হয়েছে যেখানে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা আছেন মুসলমানদের সংখ্যা কম। এই সাইট সিলেকশন কমিটির সভাপতি হচ্ছেন জেলা প্রশাসকগণ কিন্তু পলিটিক্যাল প্রেসারের কারণে এ সমস্ত জায়গায় হয়েছে এবং এক একটা মসজিদে ব্যয় ১৪ কোটি থেকে ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত এবং একটা মাল্টিপারপাস মসজিদ অডিটোরিয়াম লাইব্রেরি অটিস্টিক কর্নার মহিলাদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা, লাশ ধোয়ার কক্ষ, গবেষণাগার, পাঠাগার এবং ইসলাম ফাউন্ডেশনের অফিস রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনিয়ম লক্ষ্য করে যে আমরা একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলে আমরা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব এবং আগামী দিনে আমরা এটা চিন্তা করছি যে মসজিদের সাইট সিলেকশনের ক্ষেত্রে আমরা প্রপার গাইডলাইন যেভাবে আছে ওইটা আমরা অনুসরণ করব।
ফারুক