
ছবি: সংগৃহীত।
লিবিয়ার ত্রিপলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় লিবিয়ার বেনগাজি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক ১৬ জন এবং গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৫১ জনসহ মোট ১৬৭ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিককে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় বুরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা প্রত্যাবাসিতদের অভ্যর্থনা জানান।
এই ফ্লাইটে প্রত্যাবাসিতদের অধিকাংশই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপে গমন করার উদ্দেশ্যে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহায়তায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন। তাদের অনেকেই সেখানে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই সময় সবাইকে অনুরোধ করেন—ভয়ংকর ও অনিরাপদ এই পথ পাড়ি দিয়ে যেন আর কেউ লিবিয়ায় না যান, সে বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসিতদের প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা, খাদ্যসামগ্রী, চিকিৎসাসেবা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা প্রদান করা হয়।
লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক অন্যান্য বাংলাদেশিদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ত্রিপলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সায়মা ইসলাম