ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

সেমিনারে মালদ্বীপ হাইকমিশনার

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় প্রভাব

কূটনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:৪১, ১০ এপ্রিল ২০২৫

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় প্রভাব

বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনীন রশীদ

বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনীন রশীদ বলেছেন, বাংলাদেশকে দেওয়া ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় কোনো প্রভাব পড়বে না। এটা বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও তেমন প্রভাব ফেলবে না।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিজ) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন। ‘মালে থেকে ঢাকা : বাংলাদেশ-মালদ্বীপ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারকরণ’- শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে বিজ।
বিজ মিলনায়তনে আয়োজিত এই সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনীন রশীদ। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা তার কাছে ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারে আপনি কি ভাবছেন- এই প্রশ্নে হাইকমিশনার শিউনীন রশীদ বলেন, এটা বাংলাদেশ ও ভারতের একান্ত অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে আমার মন্তব্য করাটা ঠিক নয়। তবে আমি বলতে পারি এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না। 
মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের কোনো প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে মালদ্বীপের ট্রান্সশিপমেন্ট শ্রীলঙ্কার সঙ্গে হয়ে থাকে। তাই ভারতের সঙ্গে এ নিয়ে কোনো প্রভাব পড়বে না। ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় কোনো প্রভাব পড়বে না কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন,  এটা খুবই ছোট একটি বিষয়। এ নিয়ে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না।
শিউনীন রশীদ বলেন, মালদ্বীপের আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। আমরা সেখানে বাংলাদেশীদের নথিভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। সে অনুযায়ী আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সেখানে থাকা বাংলাদেশীদের   বায়োমেট্রিক দিতে হবে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ডক্টর নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন,  বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-মালদ্বীপ সমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে। ভৌগোলিক ও জীবনযাত্রায় দুই দেশের সামঞ্জস্য রয়েছে। কর্মসংস্থান, বাণিজ্য,  পর্যটন, মেরিটাইম সিকিউরিটি খাতে  দুই দেশের মধ্যে আমরা সহযোগিতা বাড়াতে চাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওবায়দুল হক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বলেন, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের ঐতিহাসিক সমুদ্র সংযোগ রয়েছে। তবে দুই দেশের মধ্যে এখন সরাসরি শিপিং লাইন নেই। এটা চালু হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে। দুই দেশের মধ্যে অনেক সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র রয়েছে।

এ সবের মধ্যে রয়েছে- মৎস্য, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি, শিক্ষা, পর্যটন ইত্যাদি। এ সব ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিজ চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গাউসুল আজম সরকার। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিজ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস।

×