
ছবিঃ সংগৃহীত
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করলেও বাংলাদেশের জন্য সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। তিনি বলেছেন, রপ্তানি বাণিজ্যে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য নিজেদের বিমানবন্দর ব্যবহার করে সরাসরি পণ্য রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার।
তিনি আরও জানান, আপাতত তিন মাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্র নতুন শুল্ক আরোপ স্থগিত করায় আলোচনার একটা সুযোগ তৈরি হলো।
২০২০ সালে বাংলাদেশকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দেয় ভারত, ফলে ভারতের দিল্লি, কলকাতা, ব্যাঙ্গালোর বিমানবন্দর ব্যবহার করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অপেক্ষাকৃত কম খরচে পণ্য রপ্তানির সুযোগ পেত বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। কিন্তু কোনো পূর্ব সতর্কতা বা কোনো আলোচনা ছাড়াই বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। ফলে রপ্তানিতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে।
সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ভারতের এই পদক্ষেপে রপ্তানি বাণিজ্য ও প্রতিযোগিতায় যাতে প্রভাব না পড়ে, সেজন্য নিজেদের বিমানবন্দর থেকেই আপাতত পণ্য রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন, “৪০ থেকে ৫০ হাজার টনের মতো মেটেরিয়াল বাই রোডে এখান থেকে ভারতের বিভিন্ন পোর্ট, বিশেষত দিল্লি, কলকাতা এবং ব্যাঙ্গালোর—এই পোর্টের মাধ্যমে আমাদের রপ্তানি হতো। আমরা আশা করি, এই মেটেরিয়ালটা আমরা নিজেরাই ক্যারি করার সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমাদের এই সমস্যার অতি দ্রুত সমাধান করব।”
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক আরোপের বিষয়টি তিন মাসের জন্য স্থগিত হওয়াকে দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য ভালো খবর বলে মনে করছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। এই সময়ের মধ্যে দেশটির সাথে আলোচনার ভিত্তিতে রপ্তানি বাণিজ্যের একটি সহনীয় পরিবেশ তৈরির ব্যাপারেও আশাবাদী তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “আমরা আমাদের অবস্থানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে… গতকাল রাতেও আমাদের ইউএসডিআর-এর প্রতিনিধিত্বের সাথে মিটিং হয়েছে অনলাইনে। এবং আমরা আমাদের কর্মসমষ্টিগুলো নিয়ে কাজ করছি, এবং সেগুলো নিয়ে সম্ভবত… মানে যে সময় সম্ভব, আমরা দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রে নিজেরাও যাব এবং গিয়ে আমাদের অবস্থানগুলোকে তুলে ধরবো।”
শুল্ক সংকট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করতে দ্রুতই একটি প্রতিনিধি দল দেশটিতে সফর করবে বলেও জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।
ইমরান