
ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশের ট্রানশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের মাধ্যমে ভারত আবারও অপ্রতিবেশীসুলভ আচরণের পরিচয় দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে খেলাফত মজলিস। দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে এ অভিযোগ করে বলা হয়, ভারত যদি অবিলম্বে ট্রানশিপমেন্ট সুবিধা পুনর্বহাল না করে। তবে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে তাদের ট্রানজিট সুবিধা বাতিলের আহ্বান জানানো হবে।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, “ভারতকে মনে রাখতে হবে তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যে পণ্য পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট রুট সরবরাহ করছে। এখন এই সুবিধার একতরফা বাতিল মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।”
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ‘চৈত্র সংক্রান্তি’ উৎসব পালনকে সরকারি প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক করার সমালোচনা করে খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের বাংলাদেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হবে মুসলিম সংস্কৃতির আলোকে। অন্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান স্বাধীনভাবে পালন করতে পারবে, তবে সেটি সার্বজনীনতার নামে মুসলিম সমাজের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।
বক্তারা বলেন, “বাংলা সন উদ্ভাবিত হয়েছে মুসলিম জ্যোতির্বিদদের দ্বারা। এ কারণে তা উদযাপনে কোনো অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড চলতে দেওয়া হবে না। সরকারকে ‘চৈত্র সংক্রান্তি’ বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।”
বৈঠকে খেলাফত মজলিস ১২ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
নেতারা বলেন, “গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার মুখোমুখি করার পাশাপাশি বয়কট আন্দোলনও জোরদার করতে হবে।”
বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ বলেন, “বাংলাদেশের কাঁধে রোহিঙ্গা বোঝা দিন দিন ভারী হচ্ছে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দ্রুত ও কার্যকরভাবে শুরু করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আমীরে মজলিস মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ এবং সঞ্চালনায় ছিলেন মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের। এছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সলসহ অনেকে।
আশিক