
ছবি: জনকণ্ঠ
চেক ডিজঅনার মামলায় বাউফলের সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ. স. ম. ফিরোজের ভাই এ. কে. এম. ফরিদ মোল্লাকে (৫৮) এক বছরের কারাদণ্ড এবং এক কোটি আশি লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালীর বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক বিল্লাল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আল আমিন সুজন জানান, বাদী প্রোপ্রাইটর মেসার্স হোসেন অ্যান্ড ব্রাদার্স-এর স্বত্বাধিকারী এ. টি. এম. মোকাম্মেল হোসেন ব্যবসায়িক কারণে আসামির সঙ্গে পরিচিত হন। সে সুবাদে বিভিন্ন সময়ে ফরিদ মোল্লার কাছ থেকে এক কোটি আশি লাখ টাকা গ্রহণ করেন। শর্ত ছিল, বিল পেলে আসামি স্বল্প সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধ করবেন। কিন্তু বিল পাওয়া সত্ত্বেও তিনি দীর্ঘদিন টাকা পরিশোধ না করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন।
পরবর্তীতে ফরিদ মোল্লা তার মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স মনিরা এন্টারপ্রাইজ-এর নামে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, পটুয়াখালী শাখার চলতি হিসাব নম্বর ২১-১৯৯৭ এর C/A নং B-১৫৯২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর তারিখে ১,৮০,০০,০০০/- (এক কোটি আশি লাখ) টাকার একটি চেক স্বাক্ষর করে সীলমোহরসহ বাদীকে প্রদান করেন।
বাদী একই দিন উক্ত চেক পটুয়াখালী রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, নিউটাউন কর্পোরেট শাখায় তার চলতি হিসাব নম্বর ২০৮১-তে জমা দিলে চেকটি ডিজঅনার হয়। এরপর ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি অ্যাডভোকেট মো. আল আমিন সুজন আসামিকে ৩০ দিনের সময় দিয়ে আইনি নোটিশ পাঠান। তবে ফরিদ মোল্লা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় মামলা দায়ের করা হয়।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বৃহস্পতিবার আদালত রায় ঘোষণা করেন। আইনজীবীর ভাষায়, “এই রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।” তবে এ বিষয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফরিদ মোল্লার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শহীদ