
ছবি: সংগৃহীত
বরগুনার আমতলী উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের মামলায় আট আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জামিন না মঞ্জুর করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার বরগুনার দ্রুত বিচার আদালতে হাজির হলে ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহ তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।ণ
আসামীরা হলো আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জিএম ওসমানী হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ মেলকার, সাবেক কা্উন্সিলর হাবিব মীর, হানিফ দফাদার, সুমন প্যাদা, সোহাগ প্যাদা, বাদল প্যাদা ও সাইদুল ইসলাম।
জানা গেছে, গত বছর ৫ আগস্ট উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মেয়র মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় পৌর যুবদল আহবায়ক জাকির হাওলাদার বাদী হয়ে আমতলী থানায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জিএম হাসানসহ ৩৮ জন আরও অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেন।
আমতলী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমান তদন্ত শেষে ৮৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এজাহার ভুক্ত আসামীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করেন। মামলার বাদী উপজেলা পৌর যুবদলের আহবায়ক জাকির হাওলাদার বৃহস্পতিবার আদালতে পুলিশ রিপোর্টের বিরুদ্ধে নারাজি দেয়। আদালত বাদীর নারাজি শুনানী শেষে আংশিক মঞ্জুর করে চার্জশীট গ্রহন করেন এবং আট আওয়ামীলীগ নেতার জাকির না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী মোঃ আবদুল কাদের মিয়া বলেন, ৫ আগস্টের পরে দেশে একটির পর একটি আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। ওই আসামীরা চার্জশীট দাখিল পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। আমরা একই আদালতে আসামীদের পক্ষে আবার জামিনের আবেদন করব। তিনি বলেন, এই মামলায় আমতলীর পৌর মেয়রসহ ৬ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে আসামী করেছে। একই ঘটনা দেখিয়ে অপর এক বিএনপি নেতা এই আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় মামলা করে। সেই মামলা পুলিশ ফাইনাল দেয়র
বাদীপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মোঃ ইসরাত হোসাইন সুমন বলেন, পুলিশ সঠিকভাবে চার্জশীট দেয়নি। আমরা নারাজি দিয়েছিলাম। আদালত গ্রহণ করেনি।
আবীর