
ছবিঃ সংগৃহীত
বুধবার (৯ এপ্রিল) সপ্তাহের আলোচিত বিষয় নিয়ে বাংলা ভিশনের বিশেষ আয়োজন ‘যে কথা বলতে চাই’ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশ নেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শরিফুজ্জামান শরীফ। সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন, বিশেষ করে সরকার, নির্বাচন, বিএনপি ও জামায়াতকে ঘিরে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে।
শরিফুজ্জামান শরীফ বলেন, “আমার দেশকে যদি আমেরিকার পর্যায়েও নিয়ে যাওয়া হয়, তারপরও সরকারকে পাঁচ বছর রাখার যে প্রচারণা, সেটি উদ্দেশ্যমূলক। এর পেছনে একটি পরিকল্পিত টার্গেট আছে।”
তিনি আরও বলেন, “বলা হচ্ছে গণঅভ্যুত্থানের চেতনার মধ্যে নির্বাচন ছিল না। এটি একটি মিথ্যা প্রচারণা। একইভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক দল গঠন করে, টিউশনের টাকা দিয়ে শত শত গাড়ির বহর নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়টিও গণঅভ্যুত্থানের চেতনার মধ্যে পড়ে না।”
বিএনপিকে ঘিরে চলমান প্রচারণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার পর্যবেক্ষণ বলছে, খুব পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে ঘিরে ফেলা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে মাঠ এবং বিদেশে ইউটিউবারদের মাধ্যমেও বিএনপিকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে। অথচ জামায়াত সারাদেশে নির্বাচনের প্রার্থী ঠিক করে ফেলেছে, তারা সোশ্যাল অ্যাকটিভিটির মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে মাঠে আছে। কিন্তু বিএনপি যখন ভোটের তারিখ চায়, তখন দোষটা পড়ে বিএনপির ওপর।”
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন ও রাজনৈতিক সংস্কারের নামে যে আলোচনা হচ্ছে, তার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জামায়াত ও এনসিপিকে (জাতীয় নাগরিক পার্টি) রাজনৈতিক স্পেস করে দেওয়া।
শরিফুজ্জামান বলেন, “আমি পরিষ্কার করে বলছি—নির্বাচন দেরি করে জামায়াত এবং এনসিপিকে একটি রাজনৈতিক স্পেস দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এটা খুবই পরিকল্পিত।”
তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, “বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পর সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্যরাও রাজনৈতিক দল গঠন করেছে। অনেক অনিবন্ধিত দল আছে। কিন্তু সরকার কেন কেবল এনসিপিকে সরকারি আলোচনায় ডাকছে? অন্য দলকে কেন ডাকছে না? গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে গঠিত অন্যান্য দলগুলোকে বাদ দিয়ে কেবল এনসিপিকেই কেন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে?”
তিনি আরও বলেন, “মিডিয়ায় শুধু তিনটি লোগো দেখানো হচ্ছে—বিএনপি, এনসিপি, জামায়াত। অর্থাৎ পরিকল্পিতভাবে এদেরকে বিএনপির কাউন্টার শক্তি হিসেবে দাঁড় করানোর প্রচেষ্টা চলছে।”
সরকারের পাঁচ বছর পূর্ণ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে রাজনৈতিক ওয়েব বানানো হচ্ছে—এই সরকার পাঁচ বছর থাকবে কি না, সেটি যেন নির্ধারিত হচ্ছে ঈদের বাজারে কম দামে পটল খাওয়ার মাধ্যমে! অথচ এর সঙ্গে সরকারের ৫বছর বা ৭ বছর মেয়াদ বাড়ানোর কোনো সম্পর্ক নেই। সরকার ক্ষমতা নিয়েছে একটি সংস্কারমুখী নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। সেই সময়ে, যদি দেশ আমেরিকার পর্যায়ে পৌঁছেও যায়, তারপরও সরকারকে পাঁচ বছর রাখার প্রচারণা উদ্দেশ্যমূলক এবং এর পেছনে একটি পরিকল্পিত টার্গেট আছে।”
সূত্রঃ https://www.facebook.com/watch/?v=1584570755509406&rdid=fZoeBsJvPzsqG8Sv
ইমরান