ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

মাঙ্কিপক্স টিকার ট্রায়াল শুরু

আনাদোলু এজেন্সি অবলম্বনে

প্রকাশিত: ২৩:৪৭, ৯ এপ্রিল ২০২৫

মাঙ্কিপক্স টিকার ট্রায়াল শুরু

মাঙ্কিপক্সের টিকা তৈরি করেছে চীন

প্রাণঘাতী রোগ মাঙ্কিপক্সের টিকা তৈরি করেছে চীন। বিশ্বের প্রথম এই মাঙ্কিপক্স টিকার মেডিক্যাল ট্রায়ালও শুরু হয়েছে দেশটিতে। টিকার নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত ওষুধ কোম্পানি চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ করপোরেশনের (সিনোফার্ম) অন্যতম শাখা সাংহাই ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্ট (সিআইবিপি) তৈরি করেছে এই টিকা।

দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, মঙ্গলবার চীনের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ হেনানের রাজধানী শহর ঝেনঝৌয়ের হেনান ইনফেকশন ডিজিজ হাসপাতালে শুরু হয়েছে টিকাটির মেডিক্যাল ট্রায়াল।
গত বছর সেপ্টেম্বরে সিআইবিপিকে মেডিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনার অনুমতি দিয়েছিল চীনের জাতীয় চিকিৎসা প্রশাসন। ট্রায়ালে যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের সবাই ১৮ বছরের অধিক বলে জানা গেছে।
একসময়ের বিরল ও স্বল্প পরিচিত রোগ মাঙ্কিপক্স প্রথম বিশ্ববাসীর মনোযোগে আসে ২০২২ সালে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার উষ্ণ ও আর্দ্র বনাঞ্চলের বানররা ছিল এ রোগের প্রথম শিকার ও বাহক। পরে এক সময় মানবদেহেও সংক্রমিত হওয়া শুরু করে মাঙ্কিপক্স।

স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির একটি ভাইরাস এ রোগের জন্য দায়ী। ভাইরাসটির দুইটি রূপান্তরিত ধরন রয়েছে ক্ল্যাড-১ (মধ্য আফ্রিকান) এবং ক্ল্যাড-২ (পশ্চিম আফ্রিকান)। প্রতি ১০০ মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মৃত্যু হয় ৪ জনের।
রোগটির বিভিন্ন লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ঘেমে যাওয়া, পিঠে ব্যথা, মাংসপেশীর টান ও অবসাদ। প্রথম পর্যায়ে রোগীর জ্বর আসে, পাশাপাশি শরীরে দেখা দেয় ফোস্কা ও অধিকাংশ ঘটনায় শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে; বিশেষ করে হাতের তালু ও পায়ের তলা।
এতদিন মাঙ্কিপক্সের সুনির্দিষ্ট কোনো টিকা বা ওষুধ ছিল না। তবে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, স্মলপক্স বা জলবসন্তের জন্য ব্যবহারযোগ্য টিকা মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর। তাই এ রোগের প্রতিষেধক হিসেবে জলবসন্তের টিকাই ব্যবহৃত হয়ে আসছিল এতদিন।-আনাদোলু এজেন্সি অবলম্বনে

আরো পড়ুন  

×