ছবি: সংগৃহীত
নির্ধারিত এলাকার বাহিরে গিয়ে অভিযান চালিয়ে নারী মাদক কারবারিকে মাদকসহ আটকের পর নগদ টাকা রেখে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আউয়াল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বরিশাল নগর পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় এএসআই আউয়াল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, বরখাস্তকৃত এএসআই আউয়ালের বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত শেষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত এএসআই আউয়াল হোসেন জেলার গৌরনদী উপজেলায় নিয়মবহির্ভূত অভিযানে যায়। তখন মাদক কারবারি মিজানুর রহমানের স্ত্রীকে বিপুল সংখ্যক ইয়াবা ও নগদ ৭৪ হাজার টাকাসহ আটক করে আউয়াল। পরে ইয়াবা ও ৭৪ হাজার টাকা রেখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় নগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন মিজানুর রহমান। এরপর অভিযুক্ত এএসআইর বিরুদ্ধে নির্ধারিত এলাকার বাহিরে গিয়ে অভিযান চালানোর ঘটনায় পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নগর গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর ছগির হোসেন।
নগর পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার রিয়াজ হোসেন অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত করেই সত্যতা পাওয়ায় এএসআই আউয়ালকে বরখাস্ত করা হয়।
সূত্রে আরও জানা গেছে, চাকরির শুরুতে কনস্টেবল পদে যোগদান করা আউয়াল হোসেন পদোন্নতি পেয়ে এএসআই হওয়ার পর থেকেই এক যুগের বেশি সময় ধরে বরিশাল নগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
দীর্ঘদিন একইস্থানে থেকে নগরীর নবগ্রাম রোডে কোটি টাকা মূল্যের দুটি প্লটসহ কয়েকটি জমির মালিক হয়েছেন আউয়াল। তার স্ত্রীর নামেও বিপুল সম্পদ ও ব্যাংকে রয়েছে বিপুল টাকা। এছাড়া এএসআই আউয়ালের গ্রামের বাড়ি বরগুনাতে ক্রয় করেছেন নামে-বেনামে কয়েক একর জমি।
অভিযোগ রয়েছে, এএসআই আউয়াল মাদকের বড় বড় চালানসহ মাদক কারবারিদের আটক করে মামলা না দিয়ে মোটা অংকের টাকা ঘুষের বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দিতেন। পরে উদ্ধার হওয়া মাদক গোপনে বিক্রি করতেন।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে সাময়িক বরখাস্তকৃত এএসআই আউয়াল হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের পর সাংবাদিক পরিচয় শুনেই তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বন্ধ করে রাখেন।
খোকন আহম্মেদ হীরা/রাকিব
