
প্রতীকী ছবি
আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো স্টারলিংক এর সেবা। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে বাংলাদেশে এই সেবা চালু হয়।
সম্মেলনে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) স্টলে কিউআর কোড ব্যবহার করে দর্শনার্থীরা বিনামূল্যে স্যাটেলাইটচালিত ইন্টারনেট প্রযুক্তির গতি পরীক্ষার সুযোগ পেয়েছেন। এখানে স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করে সম্মেলনের কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন (বিডা) কর্তৃপক্ষ স্টারলিংককে বিনিয়োগ নিবন্ধনের অনুমোদন দেয় গত ২৯ মার্চ। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ইলন মাস্কের সঙ্গে ভিডিও কলে স্টারলিংক প্রসঙ্গে আলোচনা করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূস। এরপর গত মাসেও ঢাকায় বেশ কয়েকবার পরীক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশে স্টারলিংকের পরীক্ষামূলক যাত্রার মাধ্যমে এক নতুন যুগের সূচনা হলো। কারণ স্পেসএক্স এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান স্টারলিংক এরই মধ্যে বিশ্বের বহু দেশে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দিয়ে যাচ্ছে। দেশব্যাপী স্টারলিংক সেবা চালু হলে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও উচ্চগতির ইন্টারনেট সহজলভ্য হবে বলে ধারণা করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা।
আজ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে দর্শনার্থীরা বিনা মূল্যে স্যাটেলাইটচালিত স্টারলিংক পরিষেবার গতি পরীক্ষার সুযোগ পেয়েছেন। সেখানে দেখা গেছে স্টারলিংকের মাধ্যমে প্রায় ১০০ এমবিপিএস (প্রতি সেকেন্ডে ১০০ এমবি) এর কাছাকাছি স্পিড পাওয়া যায়।
বিএসসিএলের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, 'আজ বিনিয়োগ সম্মেলনস্থলে স্টারলিংকের ইন্টারনেটে ডাউনলোড গতি ছিল ১০০-১২০ এমবিপিএসের কাছাকাছি। তবে গ্রাহকের চাপ বেশি থাকলে এই গতি কিছুটা কমে যেতে দেখা গেছে।
আর স্টারলিংক বলছে, বাসাবাড়িতে তাদের সেবা নিতে কিছু সরঞ্জাম (রিসিভার বা এন্টেনা, রাউটার, তার ও পাওয়ার সাপ্লাই) কিনতে হবে। এগুলোকে স্টারলিংক কিট বলা হয়, যার মূল্য ৩৪৯ থেকে ৫৯৯ ডলার পর্যন্ত (৪৩ থেকে ৭৪ হাজার টাকা)।
বাংলাদেশে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য স্টারলিংকের মাসিক সর্বনিম্ন ফি ১২০ ডলার (প্রায় ১৫ হাজার টাকা)। তবে করপোরেট গ্রাহকদের জন্য স্টারলিংক কিটের দাম ও মাসিক ফি দ্বিগুণের বেশি। তবে দেশভেদে দামে ভিন্নতা রয়েছে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=1bkIZ_UmCRA
রাকিব