
প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটদানের পদ্ধতি নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কাজ করছে এবং এটি চূড়ান্ত হবে প্রযুক্তিবিদদের পরামর্শের পর। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই প্রবাসীদের ভোটদান পদ্ধতি নিশ্চিত করা হবে। আজ বুধবার নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
ইসি আবুল ফজল বলেন, "বর্তমানে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোট দেওয়ার একটা মাত্র পদ্ধতি আছে, যেটি পোস্টাল ব্যালট। এবং ইতিপূর্বে আমরা বলেছি যে এই ব্যবস্থাটি কার্যকরী নয়। যে কারণে একটি ভোটও এই পদ্ধতিতে কাজ করা হয় না। সুতরাং এই ব্যবস্থার পরিবর্তন অতিব জরুরি। আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা তার ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্য এবং পরবর্তীতে প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে প্রথমবারের মতন ভোটের মধ্যে সম্পৃক্ত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। এবং বলেছেন যে এজন্য আমাদেরকে একটি কার্যকরী পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হবে।"
তিনি আরো বলেন, "নির্বাচন কমিশনও এই প্রত্যাশাটাকে ধারণ করে প্রথমবারের মত প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটের আওতায় আনার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করেছেন। প্রথমত কমিটি পর্যায়ে পরবর্তীতে কমিশনে এটা উপস্থাপন হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেসব প্রচলিত পদ্ধতি আছে আমরা অন্ততপক্ষে ১১৫টি দেশে প্রচলিত পদ্ধতি, যারা গণতান্ত্রিক দেশ ১৭৮টি গণতান্ত্রিক দেশ নিয়ে আমরা স্টাডি করে দেখেছি। ১১৫টি দেশ তাদের প্রবাসী নাগরিকদের জন্য কোন না কোন পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছে।"
নির্বাচন কমিশন তিনটি পদ্ধতি প্রাথমিকভাবে শর্টলিস্ট করেছে। এই পদ্ধতিগুলি হলো: ১. পোস্টাল ব্যালট - যেটি বর্তমানে আমাদের এভেলেবল সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব। ২. অনলাইন ভোটিং - প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রবাসীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য একাধিক সুযোগ। ৩. প্রক্সি ভোটিং - অন্য কাউকে ভোট প্রদান করতে অনুমতি দেয়ার পদ্ধতি।
ইসি আরও জানান, "বাংলাদেশের যে প্রবাসীরা আছেন, তাদের বিস্তৃতি এবং অবস্থানজনিত কারণে, এই বাস্তবতায় এম্বাসিতে বা কন্সুলেটে হাজির হয়ে ভোট দেওয়ার সম্ভাবনাটা আমাদের জন্য সীমিত। যে কারণে আমরা কমিশন তিনটি পদ্ধতিকে প্রাথমিকভাবে শর্টলিস্ট করেছি।"
তিনি বলেন, "এই তিনটি পদ্ধতির কিছু সীমাবদ্ধতা এবং কিছু শক্তি রয়েছে। কমিশনে প্রেজেন্ট করা করার পর, আমরা বিশেষজ্ঞদের মতামত নিতে এবং পরবর্তীতে টেকনোলজি, আইন, নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে ওয়ার্কশপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইনশাআল্লাহ আমরা বাংলাদেশী প্রবাসীদের এবার ভোটের আওতায় আনতে পারব। সেটা যে পরিসরেই হোক না কেন, সীমিত হোক বা বৃহত্তর পরিসরে হোক, কোন পরিসরে হবে আমরা পুরো ব্যবস্থাপনাটা এক্সপ্যান্ড করার পরে স্টেকহোল্ডারদের সাথে কথা বলার পরে তা নিশ্চিত করতে পারব।"
এভাবেই প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য একটি কার্যকরী ও নিরাপদ ভোটিং পদ্ধতি নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে, যা প্রবাসীদের ভোটাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করবে।
সূত্র:https://tinyurl.com/55st9274
আফরোজা