
ছবিঃ সংগৃহীত
গাজী টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন ‘টাইমলাইন বাংলাদেশ’ টক শো’তে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, “২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হতো, তাহলে আজ আর রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা কিংবা এনসিসি নিয়ে এমন প্রশ্ন উঠতো না।”
অনুষ্ঠানের উপস্থাপক তাঁকে প্রশ্ন করেন, “আপনি কি একমত—রাষ্ট্রপতির হাতে ক্ষমতা গেলে তাঁকে ঘিরে একটি বলয় তৈরি হয়ে যাবে? আপনি এনসিসি নিয়েও কী ভাবেন?”
জবাবে শিশির মনির বলেন, “গণতন্ত্রে মূলত দুটি ফরমেট থাকে—প্রেসিডেনশিয়াল ও পার্লামেন্টারি। বাংলাদেশ এক সময় প্রেসিডেনশিয়াল ফরমেটে ছিল, কিন্তু সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আমরা পার্লামেন্টারি ফরমেটে এসেছি। এই ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সরকারের প্রধান। কিন্তু বাস্তবে, কিছু ক্ষমতার অপব্যবহার এবং প্রক্রিয়ার ত্রুটির কারণে আজ এমন প্রশ্ন উঠছে।”
তিনি আরও বলেন, “২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে শুরু করে ২০১৪, ২০১৮ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচন যদি যথাযথভাবে, গ্রহণযোগ্যভাবে অনুষ্ঠিত হতো, তাহলে দল পরিবর্তন, নেতৃত্ব পরিবর্তনসহ অন্যান্য রূপান্তর স্বাভাবিকভাবে হতো। কিন্তু আমাদের এখানে গণতন্ত্রের মৌল নীতিগুলোর অপব্যবহার করা হয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করা হয়েছে, এমনকি ভোটিং সিস্টেম পর্যন্ত ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলেই আজ প্রশ্ন উঠছে, প্রধানমন্ত্রী কেন এত ক্ষমতা রাখবেন?”
শিশির মনির মনে করেন, “যখন ব্যক্তিবিশেষের ইঙ্গিতে কারও জীবন চলে যায়, নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হয়, তখন জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। আর সেই আতঙ্ক থেকেই এমন প্রতিক্রিয়াশীল (রিএকশনারি) প্রস্তাব উঠে আসছে। কিন্তু আইনের ভাষায় বলতে গেলে—রিএকশনারি কোনো পদক্ষেপ স্থায়ী হতে পারে না। যখন প্রতিক্রিয়ার জায়গাটা দূর হয়ে যাবে, তখন এসব প্রস্তাব আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না।”
ইমরান