
ছবিঃ সংগৃহীত
সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা চীনে তার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর শেষ করে পরবর্তীতে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ বিমসটেক (BIMSTEC) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। এই সম্মেলনের ফাঁকে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এই বৈঠক নিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ইঙ্গিত।
ভারতের কৌশলগত বিশ্লেষক ও Institute for Defence Studies and Analyses (IDSA)-এর ফেলো ড. স্মৃতি পট্টনায়েক এই বৈঠককে "অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ" বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, “এই বৈঠক দুই দেশের জনগণ এবং সেইসব অংশীদারদের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা, যারা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নতি চান। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান জটিলতা ও ভুল বোঝাবুঝির প্রেক্ষাপটে এ ধরনের নেতৃত্ব পর্যায়ের সরাসরি আলোচনা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখে। প্রায় ৪০ মিনিটের এই মিটিংয়ে অনেক অজটিলীকরণের সুযোগ তৈরি হয়েছে।”
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে তিনি আরও বলেন, “ভিসা প্রদান প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত থাকলেও সামগ্রিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বড় কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। বাণিজ্য কার্যক্রম এখনো স্বাভাবিকভাবে চলছে। এই প্রেক্ষাপটে ‘হাসিনার প্রত্যর্পণ’ ইস্যুটি খুব ফলপ্রসূ নয়। সম্ভবত ভারত হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করবে না।”
ড. স্মৃতি পট্টনায়েক আরও মন্তব্য করেন, “ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েরই উচিত এমন বিষয়ে গুরুত্ব না দেওয়া, যেগুলো বাস্তবে কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না। বরং যেসব ইস্যুতে অগ্রগতি সম্ভব—যেমন ভিসা প্রক্রিয়ার স্বাভাবিকীকরণ—সেই দিকেই মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।”
ইমরান