
ছবিঃ সংগৃহীত
সাংবাদিক শাহেদ আলম তার একটি ভিডিওতে আওয়ামী লীগের বর্তমান হতাশা নিয়ে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ড. ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির সাথে বহুল আলোচিত কাঙ্ক্ষিত অনাকাঙ্ক্ষিত বৈঠকের পর শেখ হাসিনার কবিতা আবৃত্তি করা ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছে না। সে জন্য তিনি কবিতা আবৃত্তি করছেন শুনছেন নিশ্চয়ই।
একটা মানুষ কতটা হেল্পলেস হলে, একটা রাজনৈতিক দলের প্রধান কতটা অকর্ম সময় কাটলে এই ধরনের কাজ তিনি করতে পারেন এবং সেটা আবার আওয়ামী লীগের দলীয় পেইজ ও নানান জায়গা থেকে প্রচারও করা যেতে পারে সেটার একটি রিহার্সাল আমরা দেখলাম।
আপাতত মনে হচ্ছে কবিতা আবৃত্তি করা ছাড়া শেখ হাসিনার আর কোন কাজ নেই। কেননা বিশ্ব রাজনীতি ও আঞ্চলিক রাজনীতিতে ড. ইউনূসের সাথে মোদির এই বৈঠকের পর অনেক হিসাবনিকাশ পাল্টে গেছে। আওয়ামী লীগ ভেবেছিলো আর সব গোল্লায় গেলেও নরেন্দ্র মোদি আওয়ামী লীগকে সমর্থন চালিয়ে যাবেন। নরেন্দ্র মোদি ড. ইউনূসের সরকারকে স্বীকৃতি দিবে না বা অসহযোগিতা চালিয়ে যাবেন এটাই ছিল আওয়ামী লীগের আশা। কিন্ত এই বৈঠকের পর এই সব ধ্যানধারণা ভেঙে গিয়েছে। এতে বলা যায় আওয়ামী লীগের নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রিক ভরসা পানিতে ডুবে মরেছে।
যদিও বলা হচ্ছে দুই একটি বৈঠকে কিছু হয় না, রাষ্ট্রের পলিসি ভিন্ন বিষয়। কিন্ত এটি মানতে হবে যে, এই ৭ মাসে ড. ইউনূসের সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য ভারতীয় গণমাধ্যমের যে প্রোপাগাণ্ডা সেই প্রোপাগাণ্ডার একটা বড় অংশতে দিল্লির সাউথ ব্লক যে প্রভাবিত ছিল তা অস্বীকার করার উপায় নাই। তবে এই বৈঠকের পরে আওয়ামী লীগের আগের সেই আশাও শেষ হয়ে গেছে।
রিফাত