
ছবিঃ সংগৃহীত
যমুনা টিভি-এর নিয়মিত আয়োজন ‘২৪ ঘণ্টা’ অনুষ্ঠানে সম্প্রতি আলোচনা হয় ‘গাজায় গণহত্যা, প্রতিবাদে বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে। অনুষ্ঠানে আলোচকের আসনে ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর যুগ্ম সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর।
উপস্থাপক প্রশ্ন করেন—গতকাল রাতে এনসিপির পক্ষ থেকে সারজিস আলম একটি আহ্বান জানিয়েছিলেন দেশবাসীকে, দলমত নির্বিশেষে সবাইকে বিক্ষোভে শামিল হওয়ার জন্য। সারাদেশে অনেক জায়গাতেই বিক্ষোভ হয়েছে, কিন্তু কোথাও কোথাও সহিংসতাও লক্ষ্য করা গেছে। যেমন, কক্সবাজারে একটি অংশের আন্দোলনকারীরা কেএফসি-সহ কয়েকটি দোকানে হামলা চালান, যেগুলো আসলে দেশীয় ব্যবসায়ীরাই পরিচালনা করেন। এই প্রেক্ষাপটে অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূরের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাওয়া হয়।
প্রতিক্রিয়ায় হুমায়রা নূর বলেন, “ধন্যবাদ আপনাকে এবং ধন্যবাদ উপস্থিত আলোচকদের। সারজিস ভাই যে আহ্বানটি জানিয়েছিলেন, তা ছিল সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে। তবে দলীয়ভাবে আজকে আমাদের একটি বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল, যা শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে কাওরান বাজার ঘুরে আমাদের কেন্দ্রীয় অফিসে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শুধুমাত্র দলীয় কর্মী নয়, সাধারণ জনগণেরও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “আপনি যেসব বিক্ষোভের কথা বলছেন, বা যেগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে—সেগুলোর সঙ্গে আমাদের দলের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। দেশব্যাপী বিভিন্ন সংগঠন, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। কিন্তু কেউ যদি এই আন্দোলনের সুযোগে ভাঙচুর, লুটপাটের মতো কাজ করেন, তাহলে সেটি মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়।”
হুমায়রা নূর আরও জোর দিয়ে বলেন, “আমরা দলীয়ভাবে কোনো সহিংস আচরণকে সমর্থন করি না। এমনকি ঈদের আগে আমাদের দলের পক্ষ থেকে সবার কাছে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে—শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। যারা আমাদের বিরুদ্ধেও সহিংস আচরণ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা প্রতিক্রিয়া দেখাইনি। সহিংসতাকে আমরা কখনোই প্রমোট করি না। আমরা শান্তির বার্তাই পৌঁছে দিতে চাই।”
ইমরান