
ছবিঃ সংগৃহীত
রমজানে প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গার সাথে ইফতার করেন জাতিসংঘ মহাসচিব আ্যন্তোনিয় গুতেরেস। তাকে সামনে রেখেই বড় আশার কথা শোনান প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছিলেন, রোহিঙ্গারা যেন আগামী ঈদ নিজ বাড়িতে ফিরে উদযাপন করতে পারেন সেই লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাথে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
অবশ্য তার এই প্রত্যাশা আশা দেখালেও অনেকেই মিয়ানমারের দীর্ঘদিনের ছলচাতুরীর কথা চিন্তা করে কঠিন হিসেবে ভাবছিলেন৷ এরই মধ্যে যেন তা অনেকটা সহজ করে দিলেন নোবেলজয়ী এই প্রধান উপদেষ্টা।
থাইল্যান্ডে বিমসটেকের সাইডলাইন মিটিংয়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকার ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা শরনার্থীকে প্রত্যাবাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার কোন জাদুর বলে মিয়ানমার সরকার ৮ বছর পর এত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা একসঙ্গে ফেরত নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে তা নিয়ে মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। সবকিছু মিলে সামগ্রিকভাবে অচল অবস্থায় থাকা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কিছুটা আলো দেখা যাচ্ছে তা বলা যায় নিশ্চিতভাবে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান আশা প্রকাশ করেন আগামী বছর ঈদের আগেই ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হতে পারে। এত কিছুর পরেও অনেকের মনে প্রশ্ন কীভাবে এবং কতটা সহজে তা সম্ভব হবে। তবে আশার প্রদীপ যে জ্বলছে তা ইঙ্গিত দিচ্ছে ৩ মার্কিন কর্মকর্তার ঢাকা সফর।
ওই ৩ জনের মধ্যে একজন মিয়ানমারে নিযুক্ত মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত সুশান স্টিভানসন। আর অপর দুই কর্মকর্তা হলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক এবং পূর্ব এশিয় ও প্রশান্ত মহাসাগর বিষয়ক ডেপুটি এসিস্টেন্ট সেক্রেটারি নিকোলান্ড চুলিক ও এন্ড্রু আর হেরাফ।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, চলতি মাসের মাঝামাঝি এই ৩ কর্মকর্তার ঢাকা সফর মিয়ানমার পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে। এ কারণে অনেকে বলছেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর জন্য প্রফেসর ইউনূসের যে প্রচেষ্টা তা অনেকটাই এগিয়ে যেতে পারে। তাই আশায় বুক বাধতেই পারে যাচাই হওয়া ১ লাখ ১০ হাজার রোহিঙ্গা।
রিফাত