
ছবি: সংগৃহীত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় নিজস্ব জমিতে পাকা ঘর নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে শহরের কলেজ পাড়ায় বাঁধন কমিউনিটি সেন্টারে জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ছোট কুড়িপাইকা গ্রামের (মুড়ির বাড়ি) এলাকার বাসিন্দা।
লিখিত বক্তব্যে জাকির হোসেন বলেন, '২০২৩ সালে কুড়িপাইকা গ্রামের সেকান্দর আলীর নিকট থেকে আমি ও আমার স্ত্রী ৬.৩০ শতাংশ ভূমি ক্রয় করে নিজ নামে খতিয়ান সৃজন করে টিনের ঘর নির্মাণ করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছি। কিছুদিন আগে আমি টিনশেড ঘর ভেঙে পাকা বিল্ডিং নির্মাণ কাজ শুরু করলে প্রতিবেশী মোঃ ফয়েজ মিয়া উক্ত ভূমির মালিকানা দাবি করে আমার কাজে বাধা দেয়।'
জাকির হোসেন বলেন, 'ফয়েজ মিয়া মালিকানার কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে আখাউড়া থানার এএসআই ধীমান বড়ুয়া সরেজমিনে তদন্ত করতে এলে ফায়েজ মিয়া তখনও মালিকানার স্বপক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।'
'নির্মাণ কাজে আদালতের নিষেধাজ্ঞা না থাকায় আমি কাজ শুরু করলে গত ৩ এপ্রিল এএসআই ধীমান বড়ুয়া আমার বাড়িতে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয় এবং আমার একজন নির্মাণ শ্রমিককে থানায় নিয়ে যায়। ২ ঘণ্টা আটক রাখার পর আমি শ্রমিককে ছাড়িয়ে আনি। এজন্য ধীমান বড়ুয়া আমার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়। পরে আমার মিস্ত্রি ইট, সুরকি, বালু, সিমেন্ট গুছিয়ে রাখার জন্য কাজ শুরু করলে এএসআই ধীমান বড়ুয়া আবারও এসে আমাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলে। এদিকে, কাজে বিলম্ব হওয়ায় আমার ইট, বালি, সুরকি, সিমেন্ট সব নষ্ট হয়ে আমি আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।'
তবে নির্মাণ কাজে বাধাদান এবং ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এএসআই ধীমান বড়ুয়া তা অস্বীকার করেন।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ছমিউদ্দিন বলেন, 'আদালতে উভয় পক্ষের মামলা থাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। তবে তদন্তকালে জাকির হোসেনের মালিকানার সত্যতা পাওয়া গেছে এবং সেই মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছি।'
মোঃ সাইফুল ইসলাম/রাকিব